সব সময় কানে ‘ইয়ারফোন’ নয়

কানে সব সময় ইয়ারফোন নয়

কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে চট করে আলাদা হওয়া যায় দুনিয়া থেকে। সুর-সঙ্গীতে আলাদা হলেও এর আড়ালেই লুকিয়ে আছে বিপদ। শরীর ও মনের ছন্দ হারিয়ে যাওয়ার ভয়। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (হু) এর সমীক্ষা বলছে, ব্যক্তিগত অডিও গ্যাজেটের লাগামছাড়া ব্যবহারের ফলে গোটা বিশ্বের প্রায় ১১০ কোটি টিন-এজার এবং অন্যরা শ্রবণক্ষমতা হারাতে বসেছে।

মাঝারি ও বেশি আয়ের দেশগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে হু-এর আশঙ্কা, ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ৫০ শতাংশ বিপদ সীমার মধ্যে আছে। কিন্তু এই প্রজন্মেরর মধ্যে শব্দের জগতে ডুবে থাকার এতো প্রবণতা কেন? মনোবিদরা বলছেন, ভালোলাগা থেকে শুরু হলেও, গান শোনার অভ্যাসটা নেশায় পরিণত হয়েছে। চারপাশের মানুষজনের প্রতি যে উদাসীনতা এখন দেখা যায়, ইয়ারফোনে মগ্ন থাকা কিছুটা সেই প্রবণতারই লক্ষণ। অনেকেই ব্যক্তিগত বা কর্মক্ষেত্রের ‘স্ট্রেস’ থেকে বাঁচতে ইয়ারফোনে গান শোনেন। কিন্তু এতে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার সঙ্গে লড়াই করার জোরই হারিয়ে যেতে বসেছে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।

মার্কিন বিজ্ঞানী কার্ল ফ্রিসটার্প গবেষণায় দেখেছেন, এই প্রজন্মের ‘ইয়ারফোন অবসেশন’ থেকে দুটি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ‘লার্নেড ডেফনেস’ বা অভ্যাসগত বধিরতা আর ‘জেনারেশনাল অ্যামনেশিয়া’ বা প্রজন্মগত স্মৃতিভ্রংশতা। কেবল এক ধরনের শব্দ শুনতে শুনতে কান তার সহজাত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এমনিতেই এই প্রজন্মের প্রকৃতির সঙ্গে দূরত্ব খুব বেশি। তাই নির্জন স্থানে গিয়েও পাখির ডাক, ঝর্নার শব্দ হয়তো কানে পৌঁছবে না। ইয়ারফোন সব সময় লাগিয়ে রাখার ফলে, কান পেতে শব্দ শোনার ক্ষমতা হয়তো হারিয়ে ফেলবে তারা।

/এইচএএইচ/

আরও পড়তে পারেন: মহাকাশচারীদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করবেন জাকারবার্গ