৫ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির পরিচালক প্রকৌশলী মো. মেসবাহুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই বরাদ্দপত্রে বলা হয়, হেল্পডেস্কের এই শর্টকোড নম্বরটি টোলফ্রি। একইসঙ্গে ন্যাশনাল হেল্পডেস্কের জন্য আগে বরাদ্দ দেওয়া ‘২০৪১’ ও ‘১৬৬৬৬’ নম্বর দুটির বরাদ্দও বাতিল করেছে কমিশন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিটি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত ন্যাশনাল হেল্পডেস্কের জন্য ৯৯৯ শর্টকোড টোল ফ্রি হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হলো। বরাদ্দকৃত টোল ফ্রি শর্টকোডটিতে কোনও প্রকার চার্জ প্রযোজ্য হবে না।’
আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০৪১ সালকে লক্ষ্য করে ন্যাশনাল হেল্পডেস্কের জন্য এই শর্টকোডটি চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের মনে হয়েছে, এই নম্বরটি জনসাধারণের পক্ষে মনে রাখা কঠিন হবে। অন্যদিকে, ১৬৬৬৬ নম্বরটিও ছিল ৫ সংখ্যার, যা জনসাধারণের জন্য মনে রাখা আরও কষ্টকর হবে। এই দুই বিষয়কে মাথায় রেখে নম্বর দুটির বরাদ্দ বাতিল করে নতুন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের শর্টকোড বরাদ্দপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, দেশের সব সরকারি কল সেন্টার ও জরুরি সেবা একটি কেন্দ্রীয় হেল্পডেস্কের রেফারেল সেবা হিসেবে প্রান্তিক জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এই উদ্যোগ নিয়েছে।
আইসিটি বিভাগ বলছে, হেল্পেডেস্কের নম্বরটি মনে রাখুন। কোনও সমস্যায় পড়লে আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মতো মুহূর্তেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে এ নম্বর। সমাধানের পথ আর দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে এ নম্বরটির মাধ্যমে।
সব মোবাইল গ্রাহক ইংরেজি পড়তে পারে না বা সবার স্বাক্ষর জ্ঞান নেই। আবার বিপদে পড়লে আত্মীয়ের মাধ্যমে সেবা বা দিক নির্দেশনা নাও মিলতে পারে। পরিবর্তে এ নম্বরটি কাঙ্ক্ষিত সেবা দেবে বলে মনে করে আইসিটি বিভাগ।
ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক নামের এ সেবা ফোন কলের পাশাপাশি ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এতে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সব ধরনের সেবা মিলবে।
জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে ১৭টি সেবা চালুর মাধ্যমে এই ডেস্কটি যাত্রা শুরু করবে। তবে ইমার্জেন্সি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ৮ থেকে ১০টি বিষয় আগে শুরু হবে।
/এইচএএইচ/এইচকে/