সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রকল্প পরিচালক ঝান পিং জিয়ান ও হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শিন শিহুই। উপস্থিত কর্ম কর্মকর্তারা কোনও বক্তব্য না দিয়ে শুনতে চান শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশ দলের পক্ষে শেখ ইমতিয়াজ নাফিস চমৎকারভাবে তুলে ধরেন সিডস ফর দ্য ফিউচার জার্নির কথা। তিনি বাংলাদেশ দলের অর্জন, চীনের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়, ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ, প্রযুক্তি পরিবেশের সঙ্গে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হয় তা তিনি বেশ প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেন।
এছাড়া এল সালভাদর ও হাঙ্গেরির দুই শিক্ষার্থী তাদের দেশের হয়ে কথা বলেন। তবে বাংলাদেশ দলের উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলেন সমাপনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ দলের পরিবেশনায় সবশেষে ছিল জাতীয় সঙ্গীত। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এল সালভাদর ও হাঙ্গেরির শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদ। গত ১২ দিনের সিডস ফর দ্য ফিউচার জার্নির চূড়ান্ত পর্ব সফলভাবে শেষ করায় শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা (হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের প্রধান কার্যালয়) সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানকে গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ দলের নাসিফ, ওয়াসিফ, নিপা, অভ্র, জাফির সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০১৬ প্রতিযোগিতা নিয়ে বলেন তাদের মুগ্ধতার কথা। এই আয়োজন তাদের আরও বড় করে চিন্তা করতে, বড় প্ল্যাটফর্মে যেতে সহযোগিতা করবে বলে জানাতেও ভুললেন না তারা।
শুক্রবার প্রতিযোগিতার শেষ দিনে সাংবাদিকদের জন্য ছিল হুয়াওয়ের কারখানা পরিদর্শন। শহর থেকে অর্ধশত কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের দেখানো হলো হুয়াওয়ের কারখানা। সেই কারখানায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং ম্যানুয়ালি তৈরি হতে দেখা গেল পিসিবি বোর্ড। রোবটিক বাহু এবং রক্তমাংসে গড়া মানুষ সেখানে মিলে মিশেই কাজ করছে। একটি পিসিবি বোর্ড তৈরি করতে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে একেবারে ফিনিশিং পর্যন্ত সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
এ আয়োজন সম্পর্কে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মো. আহসান রাজিব বলেন, ‘শেষ দিনে বাংলাদেশ দলের উপস্থাপনা ছিল মনোমুগ্ধকর। সবাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই আয়োজন থেকে শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করলেন তা তাদের শিক্ষা জীবনে, কর্মক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
/এইচএএইচ/এসএনএইচ/