কোরিয়ার গিগা আইল্যান্ডের মতো ডিজিটাল হবে মহেশখালী দ্বীপ

কর্মশালা

কোরিয়ার গিগা আইল্যান্ডের মতো গড়ে তোলা হবে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপকে। সাজানো হবে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে ‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্লান ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় পলক এসব কথা বলেন।  

কর্মশালা উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে ই-গভর্নেন্স, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশনকে গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করছি। সরকারের সব সেবা ও কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কার্যকর ও যুগপোযোগী সংযোজনের লক্ষ্য নিয়ে প্রণীত হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ মাস্টার প্ল্যান। এই মাস্টার প্ল্যান অনুসারে সরকারের সব বিভাগ তাদের প্রদত্ত সেবা প্রদান করছে। সেবাগুলো আরও সমন্বিতভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেক্ট (এইইএ) বাস্তবায়নেও কাজ করছে সরকার।

সরকারের পরিবর্তনশীল ব্যবস্থাপনাকে যাতে আরও আধুনিক করা যায় মূলত সে লক্ষ্যেই এই কর্মশালা। পলক আরও বলেন ই-গভর্নমেন্টে কোরিয়া সরকার অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আমরাও কোরিয়ান সরকারের অভিজ্ঞতাকে প্রয়োজনুসারে দেশীয় প্রেক্ষাপটে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) অর্থায়নে এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। প্রায় ২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার এই প্রকল্পে কোইকো দেবে ২৫ কোটি টাকা।

বুধবারের কর্মশালা থেকে যেসব বিষয় উঠে আসবে তা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনায় সংযুক্ত করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহেশখালী দ্বীপকে আধুনিক নাগরিক সুবিধাসমৃদ্ধ একটি দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলার কথাও জানানো হয়। পলক এই দ্বীপকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত কোরীয় দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কোয়াক সাম জু, কোরিয়ান ইন্ট্যারন্যাশনার কো-অপারেশন এজেন্সির কান্ট্রি ম্যানেজার জই হুয়নজিও, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম।

/এইচএএইচ/