নগরের সমস্যা সমাধানে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন

এক সেলফিতে প্রতিযোগিতার সবাই

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী স্মার্ট সিটি হ্যাকাথন। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাব মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ইনোভেশন সেন্টার হোয়াইট বোর্ড।

শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এসময় গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান, চিফ টেকনোলজি অফিসার মেদহাত এল হোসাইনী, ইউএনডিপি -এর পরিচালক নিক বেরেসফোর্ড এভং ওয়াটার এইড -এর কান্ট্রি ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম। ১১ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে টানা ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার শেষ হবে এই আয়োজন।

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের অনেক সমস্য আছে। তোমাদের মতো তরুণ উদ্ভাবকরা এসব সমাধানে আমাদের সাহায্য করতে পারে। এটা দেখে ভালো লা্গছে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন নাগরিক সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসছে।

স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। ঢাকার মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। এই জনবহুল শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৪৮ ভাগ। স্মার্ট সিটি এমন একটি ধারণা যার উদ্দেশ্য হলো, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনও শহরের সম্পদগুলো সঠিক ও যুগোপযোগীভাবে ব্যবস্থাপনা ও নাগরিকদের জীবনে উন্নয়ন সাধন করা। স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনে প্রতিভা শনাক্ত এবং তাদের উপযুক্ত দিকনির্দেশনা ও রিসোর্স দিয়ে ধারণাকে বাস্তবরূপ দিতে সহায়তা করা।  

৩৬ ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ৪ জন ও সর্বনিম্ন ২ জন সদস্যর অংশগ্রহণে দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দল ৩৬ ঘণ্টায় তাদের উদ্ভাবনী ধারণাটিকে সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যারের আকারে উপস্থাপন করবেন। প্রতিটি দলের জন্য একজন মেন্টর বা পরামর্শক থাকবেন, যিনি সেই দলকে তাদের চিন্তাকে বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবেন। এই আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে এতে অংশগ্রহণ করার জন্যে প্রতিটি দলকে নিবন্ধন করতে হয়েছে এবং প্রতিটি দলের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বা এর ধারণাকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। স্মার্টসিটি হ্যাকাথনে সবাই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

/এইচএএইচ/