১৮০০ ইমোজি বানিয়েছেন যিনি

ইমোজির জনক

প্রতিদিন চ্যাটের সময় ইমোজি ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পেতে সমস্যাই হবে। মন ভালো থেকে শুরু করে চরম বিরক্তি প্রকাশ- সবকিছুই প্রকাশ করতে এসব ইমোজির জুড়ি নেই। এ সময়ে এটাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮০০ ইমোজির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। অনুভূতি থেকে শুরু করে খাবার, পোশাক ইত্যাদি সবকিছুই এগুলোর অন্তর্ভুক্ত। বলতে গেলে স্মার্টফোন জগতে বিপ্লব সাধন করেছে ইমোজির আবির্ভাব।

অনুভূতি প্রকাশের ধরন বদলে দেওয়ার এই চিহ্নগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলেও আমাদের অনেকেরই জানা নেই এগুলো তৈরি করেছেন কে বা কার ধারণায় এগুলো তৈরি করা হয়েছে। আসুন এ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক ইমোজির নেপথ্যে কে রয়েছেন।

জাপানের নাগরিক শিগেতাকা কুরিতা নামের এক ব্যক্তিই এগুলোর আবিষ্কারক। কুরিতা তখন জাপানের একটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তার মাথায় ১৯৯৯ সালে প্রথম এ ধারণা আসে। তারপর নিজেই এটা বাস্তবায়ন করেন, তৈরি করেন ইমোজি। তবে মজার ব্যাপার হলো, কুরিতা তার এ ধারনার জনপ্রিয়তা দেখে বেশ অবাকই হয়েছেন। কারণ, তিনি কখনওই ভাবেননি এতটা জনপ্রিয়তা পাবে ইমোজি।

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, টেক্সট বিনিময়ের সময় মনের ভাব প্রকাশ করতে শুধু যে জাপানিরাই অস্বস্তিবোধ করতো ব্যাপারটা সেরকম নয়। পুরো বিশ্বের মানুষই এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আর সে অস্বস্তি থেকেই আমার মধ্যে এ ধারণা আসে। বর্তমানে মানুষ খুব সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। এজন্য কোনও কোনও সময় বাক্য বা শব্দ লেখারও প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি ইমোজি ব্যবহার করলেই হয়।

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

/এইচএএইচ/