ডিজিটাল অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক

বৈঠকশিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট প্লাস স্ট্রাটেজির প্রয়োগের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান ও অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে আইটি বা আইটিএস খাতে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, হাই-টেক সিটি, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি পার্ক স্থাপন ও তথ্যপ্রযুক্তি-কেন্দ্রিক বাণিজ্য প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্রদান এবং সর্বোপরি দেশব্যাপী প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে।
মঙ্গলবার বিকালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সভার ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন সাউথ এশিয়া শীর্ষক এক মিনিস্ট্রেরিয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম এবং দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ডিজিটাল ইনক্লুশন প্রক্রিয়ায় আমরা সমাজের সব অংশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করছি, গড়ে তুলছি একটি যুগোপযোগী স্টার্টআপ কালচার। ফলে, আমাদের উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।

অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন, অনলাইন টেন্ডারিং, অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং, ইউটিলিটি বিল-সহ প্রায় সব সরকারি সেবার বিল অনলাইনে প্রদানের মাধ্যমে বর্তমানে ৬৯ শতাংশ সরকারি লেনদেন অনলাইনেই পরিশোধ করা হচ্ছে জানিয়ে পলক আরও বলেন, ডিজিটাল ইকোনমির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিফলনের অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ। আগামী দিনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় এই ডিজিটাল ইকোনমির সর্বোকৃষ্ট উদাহরণ হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন শ্রীলংকার টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো, পাকিস্তানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আনুশা রহমান খান, ইন্টারনেট ম্যাটারস- এর লিন সেন্ট আমুর, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটির নির্বাহী চেয়ারম্যানের সিনিয়র উপদেষ্টা ফাডি ছেহাডি প্রমুখ। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ মার্চ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার মনোনীত করে।

/এইচএএইচ/