অনুষ্ঠানে অ্যাপসটির নির্মাতা ডা. অসিত বর্ধন জানান, ইএমআর ধারণাটি পাশ্চাত্যে চিকিৎসা সেবার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও বাংলাদেশে তা একদমই নতুন। এটি বাংলাদেশে চালু করা গেলে দেশের চিকিৎসা সেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে। এটি চিকিৎসকের জন্য যেমন চিকিৎসা প্রদান সহজ করবে তেমনি রোগীর জন্যও চিকিৎসকের সেবা গ্রহণ, রোগ নির্ণয়-চিকিৎসা সংক্রান্ত ভোগান্তি ও ব্যয় কমিয়ে আনবে।
বিডিইএমআর অ্যাপে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। রোগীর ধারাবাহিক উন্নতিসহ ইএমআর-এ সংরক্ষিত তথ্য রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক হয়। অ্যাপসটিতে রোগীর প্রয়োজনীয় ফটো বা ভিডিও সংযুক্ত করারও সুবিধা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিডিইএমআর অ্যাপসে এ সব সুবিধার পাশাপাশি রক্তচাপ, ব্লাড সুগারের ফলসহ যেকোনও পরীক্ষার ফল স্মার্টফোনের মাধ্যমে সেভ করে রাখা যায়। এমন কি একজন রোগী যে সব ওষুধ খাচ্ছেন সেটাও যোগ করে রাখা সম্ভব। ওষুধ কয়টা খাওয়া হলো, কয়টা বাকি সেটাও জানা সম্ভব। কোনও ডোজ বাদ পরলো কিনা, অ্যাপটি এ বার্তাও গ্রাহককে জানায়। যারা মাঝে-মধ্যে ওষুধ খেতে ভুলে যান তাদের জন্য এটা খুবই উপযোগী। আবার বিভিন্ন প্যাথলজি থেকে যে রিপোর্ট করা হবে সেটাও এ অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে, ট্যাবলেটে বা কম্পিউটারে দেখা যায়। চিকিৎসক নিজের চেম্বারে বসেই সেটা দেখতে পান। এভাবে এ অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়, খরচ কমে আসে এবং সময় বাঁচে। বিডিইএমআর -এর মাধ্যমে রোগীর প্রেসক্রিপশনটি কারও স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, বা ডেস্কটপে সংরক্ষিত থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওষুধ খাওয়ার সময় সেটি রিমাইন্ডার দেয়।
ডা. অসিত বর্ধন বলেন, পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এ ধরনের অ্যাপ এবং ব্যবস্থা বেশ ব্যয়বহুল। এ ধরনের বিশেষায়িত অ্যাপ হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠান, রোগী এবং চিকিৎসককে কিনতে হয়। তবে বাংলাদেশিদের জন্য বিডিইএমআর অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অ্যাপটি এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেডিকেল কনফারেন্সে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে। অ্যাপটির ডাউনলোড লিংক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bdemr.patient
/এইচএএইচ/