সক্ষমতার অভাবে কমছে না মোবাইল ফোনের ‘প্যাকেজ’

মোবাইল ফোন (ছবি: সংগৃহীত)মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের হয়রানি কমাতে বাজারে চালু থাকা শত শত প্যাকেজ কমানোর পরিকল্পনা করা হলেও সক্ষমতার অভাবে এ ব্যাপারে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছে না। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর এ ব্যাপারে ব্যবহারিক কোনও সক্ষমতা না থাকায় কোনও পক্ষই বিষয়টি বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে পারছে না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বর্তমানে কতোগুলো প্যাকেজ চালু রয়েছে তার সংখ্যা জানতে চেয়ে গত বছর বিটিআরসিকে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অপারেটরগুলোর মোট প্যাকেজ, অনুমোদনহীন প্যাকেজ, অটো-রিনিউ হওয়া প্যাকেজ, গ্রাহকের সমস্যা হওয়া এবং গ্রাহকের সমস্যা হয় এমন প্যাকেজের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল চিঠিতে।

ওই চিঠির জবাব এলে বাজারে চালু থাকা ভয়েস ও ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো কমানোসহ গ্রাহকবান্ধব কিছু নির্দেশনা জারির পরিকল্পনা ছিল টেলিযোগাযোগ বিভাগের। কিন্তু তার আগেই বেরিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর দৈন্যদশা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপ-সচিব এম. রায়হান আখতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “প্যাকেজ কমানোর কোনও ‘ক্যাপাসিটি’ না থাকায় আমরা পরিকল্পনামাফিক নির্দেশনা জারি করতে পারছি না। বাজারে এখন অপারেটরগুলোর কোন কোন প্যাকেজ চালু আছে, কোন প্যাকেজ জনপ্রিয়, কোনগুলো ভালো চলছে, কোনটা কোনটা খারাপ করছে; এসব চিহ্নিত করবে কে?’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপ-সচিবের প্রশ্ন— মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কি বলতে পারবে তাদের কতোগুলো প্যাকেজ চালু রয়েছে? কিংবা কোনগুলো ভালো বা খারাপ? এগুলো তারা কীভাবে পরিমাপ করবে?

তাই এই উদ্যোগের সফলতা নিয়ে শুরুতেই শঙ্কা প্রকাশ করে এম. রায়হান আখতার  বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আলোয় আনতে গেলে সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি। কিন্তু তা আপাতত কারোরই নেই।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপ-সচিবের মতে, ‘যদি পরিকল্পনা নেওয়া হয় তাহলে আগে প্রযুক্তির কথাও ভাবতে হবে। কারণ এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তিগত সহায়তা। যদিও আমাদের দেশে এখনও তেমন প্রযুক্তি আসেনি।’

প্রচলিত আছে, দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রায় হাজারের বেশি প্যাকেজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্যাকেজ যেমন ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের কিছু ‘প্যাকেজ’ অতিবাণিজ্যিক। এগুলো বন্ধ করতেই প্যাকেজ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এই প্যাকেজের সংখ্যা ২০টির নিচে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা দিয়েছিলেন।তারা মনে করেন, গ্রাহকদের জন্য অপারেটররা যত প্যাকেজ অফার করে, ব্যবহারিক অর্থে এতো প্যাকেজের কোনও প্রয়োজন নেই। স্বল্প অথচ কার্যকরী প্যাকেজ গ্রাহককে হয়রানির বদলে সাশ্রয়ী করে তুলে স্বস্তি দিতে পারে বলে মন্তব্য তাদের। 

/এইচএএইচ/জেএইচ/আপ-এফএস/

আরও পড়ুন- 


বাস মালিকরাও যে কারণে শ্রমিকদের ধর্মঘটে নামিয়েছিলেন