অনলাইনে তথ্য ও সম্পদ নিরাপদ রাখতে হবে: স্পিকার

 

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীঅনলাইনে আমাদের সব তথ্য ও সম্পদ নিরাপদ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট নিরাপদ না থাকলে অনলাইনে রাখা আমাদের যাবতীয় তথ্য অনিরাপদ হয়ে পড়বে। কারণ প্রতিনিয়ত হ্যাকাররা অনলাইনে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের সরকার এসব হুমকি সম্পর্কে সচেতন এবং অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের নির্বাচনি ভিশন ছিল, যা এখন বাস্তবতা।’

একই অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে অনেক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি।’

তিনি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এর ফলে আমরা সহজেই সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারছি। আমরা যদি সাইবার অপরাধীদের চেয়ে অগ্রসর থাকতে পারি তবে এসব অপরাধ দমন করা সম্ভব।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রীও অনলাইনে তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে সবাই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অশ্লিলতা প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দিনদিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। কিছু মানুষের অজ্ঞতা ও অপব্যবহারের ফলেই এটা হচ্ছে।  তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা ও আইন মেনে চলে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশে যেন তারা এ দেশের আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি মেনে চলে। এসব বিষয়ে তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’ 
অনুষ্ঠানের কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনের (সিটিও) মহাসচিব শোলা টেইলর বলেন, ‘সাইবার অপরাধ কোনও জাতির একার সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এ সমস্যা বৈশ্বিকভাবেই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’

এ সময় সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন- ডাকা ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবীব খান।
উল্লেখ্য, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক দুদিনের আন্তজাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। দুদিনের এই সম্মেলনে ৮টি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন (সিটিও) এই সম্মেলনের আয়োজক। সম্মেলন ও কর্মশালার প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সাইবার ক্রাইম, সেফ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড’।
সম্মেলনের শেষদিন বুধবার দুপুরে তরুণদের নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট, সাইবার স্পেস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।

/এইচএএইচ/এসএনএইচ/