আইসিটি বিভাগের সঙ্গে স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করবে আইবিএম

স্টার্টআপগুলোর জন্য সুখবরদেশীয় স্টার্ট-আপগুলোর জন্য আইবিএম গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রাম চালু করলো সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) কর্পোরেশন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

আইবিএম গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রামের আওতায় স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদেরকে আইবিএম ক্লাউড ও আইবিএম ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্লুমিক্স -এর ওয়াটসন এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ব্যবহার করতে পারবে। আইবিএম -এর সুবিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের বড় বড় গ্রাহক, পরামর্শক এবং উদ্ভাবন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে দেশীয় উদ্ভাবনগুলোকে দ্রুত সংযোগ স্থাপন, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি দল ও আইবিএম -এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী র্যা ন্ডি ওয়াকারের নেতৃত্বে আইবিএম প্রতিনিধি দল এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় আইবিএম প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ বলেন, আইবিএম আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বেভিত্তিতে কাজ করতে চায়। আইবিএম -এর বৈশ্বিক কর্মসূচির ফলে এখন স্টার্ট-আপগুলো তাদের উদ্দেশ্য সাধনে আরও বেশি সমর্থন ও সহযোগিতা পাবে এবং উপযুক্ত স্টার্টআপগুলো আগামী ১ বছরের জন্য প্রতিমাসে ১ হাজার ডলার সমমূল্যের আইবিএম ক্লাউড ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এছাড়া ব্যবসা চালু করতে তাৎক্ষণিকভাবে অবকাঠামো ব্যবহারের সুবিধাসহ স্টার্টআপগুলোকে তাদের উদ্যোগ, কোডিং, বিল্ডিং, স্কেলিং এবং বাজারে উপস্থাপন করতে সহায়তা করবে। আরও অতিরিক্ত কিছু জিজ্ঞাসা ও অনুমোদনের পর মনোনীত স্টার্টআপগুলো আগামী এক বছরের জন্য প্রতিমাসে ১০ হাজার ডলার মূল্যের আইবিএম ক্লাউড ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের উদ্ভাবনকে অনুপ্রেরণা যোগাতে ও স্টার্টআপ কালচার প্রতিষ্ঠা করতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে থাকতে আইসিটি বিভাগ এখন কগনেটিভ টেকনোলজিতে মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ল্যাব স্থাপন করেছি। স্থাপন করা হচ্ছে বিগ ডেটা, এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স), অ্যাডভান্সড রোবোটিকস, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবসহ আরও প্রায় ডজন খানেক ল্যাব। এছাড়া মেশিন লার্নিং, বায়োটেক, ফিনটেক ও এডুটেক খাতেও আমরা কাজ করতে চাই। এজন্য দেশে স্টার্ট-আপ ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে আইসিটি
বিভাগের সঙ্গে আইবিএম -এর এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্টার্ট-আপরা আবেদন করতে ক্লিক করুন:
https://developer.ibm.com/startups/

/এইচএএইচ/