স্টার্টআপের জন্য ‘ডেডিকেটেড ফ্লোর’ থাকছে সারাদেশের হাইটেক পার্কে

অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ীরাআইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা দেশে একটি স্টার্টআপ কালচার গড়ে তোলার জন্য স্টার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১৫ সালে এই উদ্যোগের মাধ্যমেই আমরা জনতা টাওয়ারে শীর্ষ ৫০ স্টার্টআপকে বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া। আজ সেখান থেকে বেশ কিছু স্টার্টআপ দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের সেই সফলতা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলোও প্রচার করছে। ফলে, আমাদের তরুণদের যে সক্ষমতা, তা কিন্তু আজ সারাবিশ্বে সমাদৃত, স্বীকৃত। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ন্যাশনাল এক্সিবিশন ফর স্টার্টআপ বাংলাদেশ শীর্ষক এক আয়োজনে এসব তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহীত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আইডিয়া তথা উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কো-ওয়ার্কিং স্পেস, মেন্টরিং, স্টার্টআপ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া দেশের নির্মীয়মাণ ২৮টি হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্টআপদের জন্য ‘ডেডিকেটেড’ ফ্লোরও থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, আমাদের তরূণদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা অসাধারণ। সহযোগিতা পেলেই তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি শেষ হওয়া যাওয়া স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জের বিজয়ী ২০টি স্টার্টআপকে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। স্টার্টআপগুলো হলো: ট্রাক চাই, মেডিটর, হ্যান্ডিমামা, শপআপ, স্নিফার, অ্যাডভান্স ড্রাইভার অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড মনিটরিং সিসটেম, ডিজিটালাইজ লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রি, গারবেজম্যান, মোবাইল ম্যানেজার ফর রিটেইল শপ, অ্যাডভান্সড ভেহিকেল সিকিউরিটি সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেজড প্রাইস কম্পারিজন ইঞ্জিন, ক্যারিয়ার বট, সিএমইডি, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অব ইন্ডিজেনাসলি ডেভেলপড অ্যান্ড টেস্টেড টেলিমেডিসিন, অ্যাপবাজার, পাথ ফাইন্ডার, হিরোজ অব ৭১:মুক্তিক্যাম্প, হ্যাসট্যাগ ও অ্যাডমিশন নিঞ্জা।
বিজয়ী স্টার্টআপরা কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ও যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের স্টার্টআপ ফ্লোরে বিনামূল্যে স্পেস পাবে। এছাড়া বিজয়ীরা আইডিয়া প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার।
/এইচএএইচ/