বাইক চালানোর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় হবে স্মার্টফোন!

স্মার্ট ফোনবর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর পেছনে মোবাইল ফোন বিশেষ করে স্মার্টফোন ব্যবহারই দায়ী বলে মনে করেন অনেকে। গাড়ি বা বাইক চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা চাটিং করার কারণে প্রায়শই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আর সেক্ষেত্রে যদি গাড়ি বা বাইক চালানো শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার স্মার্টফোনটির নেটওয়ার্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পদ্ধতি থাকত তাহলে কেমন হতো?

হ্যা, ভবিষ্যতে হয়ত আপনাকে আর কষ্ট করে গাড়ি চালানোর সময় আপনার স্মার্টফোনটির সুইচ অফ করতে হবে না। কারণ ডাচ টেলিকম কোম্পানি কেপিএন এমন একটি স্মার্ট লক অ্যাপ তৈরি করেছেন যেখানে অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার বাইকটি আনলক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্মার্টফোনের মোবাইল নেটওয়ার্কও নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

ডাচ ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মিত এই স্মার্ট লক অ্যাপটির মূল লক্ষ্য হলো ‘ট্র্যাফিকে স্মার্টফোনের নিরাপদ ব্যবহার’ এই প্রচারণাকে বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।

ধারণা করা হচ্ছে এটি উঠতি বয়সী বাচ্চাদের বিপজ্জনক ড্রাইভিং থেকে বিরত রাখতে পারবে। তবে স্মার্ট লক অ্যাপের কিছু বিষয় এখনও অস্পষ্টই রয়ে গেছে।

যেমন এই স্মার্ট লক পদ্ধতিতে আপনি আপনার যাত্রাপথটিকে অফলাইনে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আপনার ফোন নেভিগেশান কাজ করবে না। আর সেক্ষেত্রে যদি আপনি কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাহলে কী হবে? অথবা যদি ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আপনি এই স্মার্ট লকটি আর আনলক করতে না পারেন? অথবা স্মার্ট লকটি যদি কোনও কারণে হঠাৎ করে কাজ না করে এবং আপনি আপনার ফোনটিকে আনলক করতে না পারেন?

এক্ষেত্রে কেপিএন অবশ্য বলছে স্মার্ট লকটি বর্তমানে একটি পাইলট প্রজেক্টের অধীনে রয়েছে এবং তারা একটি জরুরি বোতামযুক্ত করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে যাতে জরুরি মুহূর্তে আনলক না করেও কল করা যায়।

যদিও এটি একটি চমৎকার পদক্ষেপ, তবে সম্পূর্ণ মোবাইল নেটওয়ার্কের পরিবর্তে শুধুমাত্র কলিং এবং টেক্সট অ্যাপকে নিষ্ক্রিয় করাই অধিক ভালো হবে বলে অনেকের মত।

যেহেতু স্মার্ট লকটি বর্তমানে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য এই পরিবর্তনটি আসতেই পারে। কেপিএন’র ভাষ্যমতে স্মার্ট লকটির নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এটি সবার জন্য অবমুক্ত করা হবে। এর প্রাথমিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে একশ ইউরো।

সূত্র: দ্য ভার্জ

/এসএনএইচ/