ইন্টারনেটভিত্তিক চিকিৎসা সেবার প্রসার চান তরুণরা

কলসেন্টারদেশের প্রতিটি খাত ডিজিটালাইজেশনের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাটি অনেকটা পিছিয়ে আছে। ফলে বিশাল সংখ্যক রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এতো ভিড় থাকে যে, সেগুলোতে গিয়ে সময়মত ডাক্তার দেখানোটা রীতিমত কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে কম্পিউটারের যুগে প্রায় সবকিছুই কাগজে-কলমে করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সময় বেশি লাগে এবং রোগীর চাপ তৈরি হয়।
বেসরকারি হাসপাতালগুলো এক্ষেত্রে কিছু এগিয়ে থাকলেও তারাও পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশনকে আলিঙ্গন করতে পারেনি। বিশেষ করে, ডাক্তার দেখানোর জন্য রোগীর সিরিয়ালের প্রক্রিয়াটা এখনও বলতে গেলে অ্যানালগই রয়ে গেছে। বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে এ ব্যবস্থাটা বিদ্যমান। ফলে সেগুলোতে গিয়েও কিছুটা হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের। কিন্তু বর্তমান সময়ের তরুণরা বিদ্যমান এ অবস্থার পরিবর্তন চান। ইন্টারনেটের যুগে হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় বসে যেন ডাক্তারের সিরিয়াল নেওয়া যায়, সে সুবিধা চান তারা।
এ সম্পর্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি একদিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখানোর জন্য একটি সরকারি হাসপাতালে যাই। কিন্তু এই গরমে দীর্ঘ লাইন দেখে সেখান থেকে ফিরে আসি। তবে ডাক্তার না দেখালেই নয়। তাই শেষ পর্যন্ত একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হই। কিন্তু সেখানেও সিরিয়াল নেওয়ার প্রক্রিয়াটা প্রায় একই। আমি চাই, ইন্টারনেটের যুগে একজন রোগীকেও যেন ন্যূনতম হয়রানির শিকার হতে না হয়।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী এএসএম শাহীন বলেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে গিয়ে অব্যবস্থাপনার জন্য আমি বেশ কয়েকবার হয়রানির শিকার হয়েছি। শেষ পর্যন্ত এক বন্ধুর কাছ থেকে ডক্টরোলা ডট কম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাই। যারা ফোন কলের মাধ্যমে (১৬৪৮৪) নিকটস্থ ডাক্তারের সিরিয়াল নেওয়া যায়। এখন আমি ডক্টরোলার মাধ্যমেই সিরিয়াল নিই। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এরকম দারুণ একটি কাজ করছে, অথচ সরকারি হাসপাতালগুলোর ডিজিটালাইজেশনের কোনও নাম নেই।

/এইচএএইচ/