ই-মেইলেই আস্থা

ই-মেইলবর্তমানে ক্লাউড সার্ভিসের কল্যাণে ডিজিটাল ব্র্যান্ডিংয়ের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ এগুলো গ্রাহকদের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে পারছে। যেমন ই-মেইল এর কথাই ধরা যাক। বর্তমানে ন্যূনতম খরচে, অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহক নৈকট্য লাভে ই-মেইলের জুড়ি মেলা ভার।

ই-মেইল বিজ্ঞপ্তিগুলো (নোটিফিকেশনস) বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক উন্নত। অবাঞ্ছিত বা বারবার আসা একই বিপণন বার্তা এখন গ্রাহকরা সাধারণত উপেক্ষা করেন। কারণ এতে প্রয়োজনীয় কোনও তথ্য থাকে না। অন্যদিকে ই-মেইল বিজ্ঞপ্তিগুলো স্পষ্টভাবেই গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। এতে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রয়োজনীয় বা মূল্যবান তথ্য থাকে।
এক্ষেত্রে একটি নিখুঁত উদাহরণ হতে পারে নিরাপত্তা সম্পর্কিত ই-মেইল নোটিফিকেশনস। গ্রাহকেরা যেখানেই লগইনের চেষ্টা বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের চেষ্টা করুন না কেন অথবা ড্রপবক্সের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের মতো বড় বড় সংকটের মধ্যেই পড়ুন না কেন একটি স্বয়ংক্রিয় ই-মেইল নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তারা তা জানতে পারেন পারেন। এটি গ্রাহকদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়া এবং প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর একটি বড় কৌশল হিসেবে কাজ করছে।
বার্তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ই-মেইল প্রায় সবার প্রথম এবং একমাত্র পছন্দ। এর পেছনে অবশ্য অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ, এমনকি অ্যামাজন ইকোতেও ব্যবহার করা যায়। এটি একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম। প্রতিটি বার্তা এতে স্বচ্ছভাবে থাকে এবং সব ই-মেইল প্রদানকারীর কাছেই ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত। স্থায়ীত্বের দিক থেকেও এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম। কারণ হলো, ইনবক্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সহজেই রেকর্ডগুলো পাওয়া যায়।
সূত্র: টেকক্র্যাঞ্চ
/এইচএএইচ/