‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২২ শতাংশ অনলাইনে শপিং করেন’

অনুষ্ঠানের অতিথি ও বক্তারাদেশের সাড়ে ৬ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ২২ শতাংশ ব্যবহারকারী অনলাইনে শপিং করেন। এই ই-কমার্স মার্কেটে একটি বিশাল অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেশে প্রয়োজনীয় ই-পেমেন্ট ও লজিস্টিক ফ্রেমওয়ার্ক না থাকায় এই বিকাশমান বাজারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)-এর সাথে যৌথভাবে মাস্টারকার্ড, এসএসএল ওয়্যারলেস ও টেকনোহ্যাভেনের পৃষ্ঠপোষকতায় ই-কমার্স পেমেন্টস ও লজিস্টিকসের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ই-কমার্সের প্রসারে মূল প্রতিবন্ধকতা, ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগের উপায় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রণীত আইনের ওপরে এই সেমিনারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং এমসিসিআই এর সহ-সভাপতি গোলাম মাইনুদ্দিন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ই-কমার্সের দিকে সম্পূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, বেসিস মাস্টারকার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে এই অগ্রগতিতে ব্যাপক সহযোগিতা পাবে।
এমসিসিআই-এর সহ-সভাপতি গোলাম মাইনুদ্দিন বলেন সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করার উদ্দেশ্যে এমসিসিআই সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ভবিষ্যতে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ই-পেমেন্টস ও লজিস্টিকস একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, মাস্টারকার্ড সবসময়ই অনলাইনে পেমেন্ট দিতে উৎসাহিত করেছে। এজন্য আমরা সহজে ব্যবহারযোগ্য গ্রাহক প্রিয় পেমেন্টস লজিস্টিকস এবং প্রোডাক্টের বিশাল পোর্টফোলিও ব্যবহার করেছি যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা যা প্রয়োজন সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
/এইচএএইচ/