‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে তারানা হালিমবঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ শতকরা ৮৮ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘অক্টোবরের মধ্যে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হবে। আর সেপ্টেম্বরে ইকুইপমেন্ট টেস্টিং শুরু হবে।’
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তারানা হালিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে তারানা হালিমতারানা হালিম বলেন, ‘আমাদের টার্গেট এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা। তবে তা ফ্লোরিডার আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শতভাগ শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে এ স্যাটেলাইট থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো শেষ হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।

তারানা হালিম বলেন, ‘উৎক্ষেপণের পর দেশের টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, টিভি চ্যানেলসহ তথ্যপ্রযুক্তিখাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। কভারেজ এলাকা ইন্দোনেশিয়ার ১৮ হাজার দ্বীপে এ স্যাটেলাইট থেকে সংযোগ নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। উৎক্ষেপণের তিন বছর পর থেকে নিজেরাই এটি পরিচালনা করতে পারবো। এরমধ্যে দক্ষ জনবল তৈরি হয়ে যাবে। জনবল তৈরির জন্য ১৮ জনকে প্রশিক্ষণ নিতে ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসে পাঠানো হবে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য চলতি বরের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ দশমিক এক ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্পট ক্রয় করেছে বাংলাদেশ। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশনপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি বাংলাদেশ নিজেরা ব্যবহার করবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ইজারা দিতে পারবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হলে দেশের সব মানুষকে যোগাযোগ ও সম্প্রচার সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে দুর্যোগ প্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত হবে। স্যাটেলাইটের বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও উপার্জন করা যাবে।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

/এইচএএইচ/এসএমএ/