একসেঞ্চারের ৫৫৬ কর্মীর কী হবে?

একসেঞ্চারের কর্মীদের সংবাদ সম্মেলনবহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান একসেঞ্চার বাংলাদেশের চাকরিচ্যুত পাঁচশ ৫৬ কর্মী ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। চাকরির এই বয়সে এসে তারা কোথায় যাবেন, কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এসব কর্মীরা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনি-ডিএলসি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একসেঞ্চার বাংলাদেশের চাকরিচ্যুত পাঁচশ ৫৬ জন কর্মী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনি-ডিএলসির সভাপতি আমজাদ আলী খান, একসেঞ্চার বাংলাদেশের আইটি অপারেশন টিম লিড ও একসেঞ্চার এমপ্লয়িজ ইউনিউয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই একসেঞ্চার বাংলাদেশ তাদের পাঁচশ ৫৬ কর্মীকে টার্মিনেশন লেটার পাঠায়। তাতে বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের পাওনা পরিশোধ করে ওইদিন থেকেই একসেঞ্চার বাংলাদেশ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পাঁচশ ৫৬ কর্মী কোথায় যাব? আমরা সবাই টেলিকম খাতে বিশেষজ্ঞ। যেখানে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোই কর্মী ছাঁটাই করছে, সেখানে তো আমরা চোখে অন্ধকার দেখছি।’ একসেঞ্চার, টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের পারস্পরিক ব্যবসায়িক জটিলতার কারণে বাংলাদেশ থেকে একসেঞ্চার চলে যাচ্ছে বলে জানান শাহীন আহমেদ।

শাহীন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে একসেঞ্চারের অনেক প্রজেক্ট রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের জন্যই প্রয়োজন ২০০ কর্মী। অবশিষ্ট কর্মী কাজ করেন টেলিনরের বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট নিয়ে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান উইপ্রো এসে যদি আমাদের কর্মীদের নিতে চায়, তাহলেও সর্বোচ্চ ২০০ কর্মীকে নিতে পারবে। অবশিষ্ট ৩৫৬ কর্মীর কী হবে?’

শাহীন আহমেদ আরও  বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কাজ একসেঞ্চারের হাত থেকে চলে গেলেও টেলিনরের যে কাজ থাকবে, তা আমরা ভালোভাবে করে দিলে একসেঞ্চার বাংলাদেশ থেকে মুনাফা করতে পারবে। এজন্য দেশে এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’ প্রয়োজনে কর্মীরা অতিরিক্ত সময়ও কাজ করতে রাজি আছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

 

/এইচএএইচ/এসএমএ/ 

আরও পড়ুন

যে কারণে বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে একসেঞ্চার