‘বৈশ্বিক মান’ পাবে ১০ বাংলাদেশি ডাটা সেন্টার

সম্মেলনে আগত অতিথিরাবাংলাদেশে বর্তমানে বেসরকারিখাতে বৈশ্বিক মানের কোনও ডাটা সেন্টার না থাকলেও ২০১৯ সাল নাগাদ ১০টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সে মান অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার মান প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আপটাইম ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন ডাফিন বলেন, জাতীয় ডাটা সেন্টারের পাশাপাশি বেসরকারিখাতের বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক মানসনদের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এ বছরের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আগামী বছর নাগাদ দশটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মান স্বীকৃতি’ দেওয়া হবে।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্যাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক ডাটা সেন্টার সম্মেলনে’ একটি সেমিনারে বাংলাদেশে ডাটা সেন্টার প্রযুক্তির সম্ভাবনা উল্লেখ করে ডাফিন বলেন, ডাটা সেন্টার ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এ অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্ভব না হলেও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা সেন্টারে সবুজ প্রযুক্তির পরিচয় করানো গেলে বেসরকারি খাতসংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়বে।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলনের পর্দা নামলো শুক্রবার।
বাংলাদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিসি আইকন ও ডাটা সেন্টার প্রফেশনাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দেন ৯টি দেশের তথ্য ব্যবস্থাপনা খাতের বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদরা।
আয়োজকরা জানান, দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলনে ৯টি দেশের ৩০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।