গুগলের যত ব্যর্থ ফিচার

nonameঅত্যন্ত ব্যবসাসফল একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুগল সবার কাছে পরিচিত। গুগল সার্চ থেকে শুরু করে এর ম্যাপ, অপারেটিং সিস্টেম (অ্যান্ড্রয়েড) এবং সর্বশেষ গুগলের স্মার্টফোন গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এমন দারুণ সব সাফল্য থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যর্থ পণ্য এবং ফিচারের সংখ্যাও কম নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সে রকম কিছু ব্যর্থতার কথা-

গুগল নোটবুক: গুগল ডকসের আগে প্রায় একই রকম যে সুবিধাটি গুগল বাজারে নিয়ে আসে, সেটাই গুগল নোটবুক। এর সাহায্যে ইউআরএল কপি-পেস্ট এবং প্রয়োজনীয় কিছু লিখে শেয়ার বা প্রকাশ করা যেত। কিন্ত গ্রাহকদের মধ্যে এটা খুব বেশি সাড়া ফেলেনি। ফলে ২০০৯ সালে সুবিধাটিকে আরও উন্নত করার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় গুগল। ২০১২ সালে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর সব ডেটা গুগল ডকসে স্থানান্তর করা হয়।

আই-গুগল: গ্রাহকদের জন্য ২০০৫ সালে আই-গুগল নামে একটি ফিচার নিয়ে আসে গুগল। এটা দিয়ে নিজের মতো করে হোমপেজ সাজানো সম্ভব হতো। কিন্তু এটাও খুব বেশি গ্রাহক টানতে পারে নি। ফলে ২০১৩ সালে ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গুগল হ্যাংআউটস অন এয়ার: এটা ছিল গুগলের প্রথম লাইভ স্ট্রিমিং সেবা। ২০১২ সালে তৈরি করা এ ফিচার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পোপ ফ্রান্সিস একবার ব্যবহার করলেও সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। যে কারণে ২০১৬ সালে এটাকে ইউটিউব লাইভ হিসেবে নতুন রূপ দেওয়া হয়।

গুগল হেলথ: মানুষকে স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা করার জন্য গুগল হেলথ চালু করা হলেও গ্রাহকদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পায়নি ফিচারটি। ফলে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে এটি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গুগল ওয়েব: একে অপরকে মেসেজ পাঠানো এবং কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ডকুমেন্ট এডিটের সুবিধা নিয়ে গুগল ওয়েব ফিচারটি চালু হয়। কিন্তু গ্রাহকরা এটি দিয়ে খুব বেশি উপকৃত হয়নি। ফলে ২০১০ সালে সুবিধাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গুগলের এই ফ্লপলিস্টের তালিকায় আরও রয়েছে গুগল গ্লাস, বাজ, লাইভলি, গুগল এনসার্স, গুগল প্লে এডিশন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনস, গুগল ভিডিও, নেক্সাস কিউ, গুগল এক্স, গুগল রিডার ইত্যাদি পণ্য ও ফিচার। সূত্র: গেজেটস নাউ।