চলছে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের চূড়ান্ত বাছাই

বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭‘বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭’-এর চূড়ান্ত বাছাই পর্ব চলছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কার্যালয়ে বাছাই পর্বের মাধ্যমে এই পুরস্কারের জন্য বিজয়ীদের নির্বাচিত করা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। আগামীকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) শেষ হবে এই প্রক্রিয়া। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেসিস জানিয়েছে, এই পর্বে মোট ১৮১টি প্রকল্প বাছাই করছেন বিচারকরা। আন্তর্জাতিক মানের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় ১৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫১টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হবে।
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক এম রাশিদুল হাসান বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা)। এই অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি অ্যাপিকটা সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করে থাকে। আগামী ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশেই আয়োজিত হবে এই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস। বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের সেরা প্রকল্পগুলোকে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য মনোনীত করা হবে।’
এম রাশিদুল হাসান বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নেবে, তাই এখন থেকে প্রতিবছরই ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন করবে বেসিস।’ তিনি বলেন, ‘এবারের আয়োজনে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। ১৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৬৫টি প্রকল্প জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বিচারকরা ১৮১টি প্রকল্প চূড়ান্ত বাছাই পর্বের জন্য মনোনীত করেন। প্রায় ৪০ জন বিচারক সংশ্লিষ্টদের প্রেজেন্টেশন ও যাবতীয় ডক্যুমেন্টেশন পর্যালোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচন করবেন। শিগগিরই চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।’
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘২০১৫ সালে অ্যাপিকটার সদস্য হওয়ার দুই বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজন বড় একটি অর্জন। জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ১৬টি দেশের প্রতিযোগিতার এই আয়োজন বাংলাদেশকে বিরল সম্মান এনে দিচ্ছে। এতে দুই শতাধিক প্রতিযোগী ১৭টি ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ছয় শতাধিক প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসবে।’ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করাতে ও রফতানির বাজার বাড়াতে এই আয়োজন ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তিনি।