ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে ল্যাবরেটরি হস্তান্তর করলো স্যামসাং

ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে ল্যাবরেটরি হস্তান্তর করে স্যামসাং

ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাছে অ্যারাইজ কার্যক্রমের অধীনে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি হস্তান্তর করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ভবনে হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অ্যারাইজ (অ্যাডভান্সড রিপেয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট) হলো চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সহায়ক একটি ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। স্যামসাং এই প্রশিক্ষণটি বিনা খরচে প্রদান করেছে এবং ল্যাবরেটরিটি প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন বলেন, ‘‘২০১৫ সালে অসাধারণ সাফল্যের পর আমরা এ বছর আবারও ‘অ্যারাইজ’ প্রকল্পটি নিয়ে এসেছি ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় ও চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য। দেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের সমান অবদান রাখছেন। কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা এক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন।’’

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ‘অ্যারাইজ’ কর্মসূচির সফলতার পর ক্রিয়েটিং শেয়ার্ড ভ্যালু (সিএসভি) উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি ল্যাবরেটরি ও শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ আধুনিক ও উন্নত রিপেয়ার ইকুইপমেন্ট এবং অরগানাইজড স্কিল বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পান। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সের পর স্যামসাং সার্ভিস সেন্টারে শিক্ষার্থীদের এক মাসের জন্য ইনটার্নশিপ সুবিধা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৭৫ জন শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং এদের মধ্যে ৭২ জন কৃতকার্য হয়ে সনদপত্র গ্রহণ করেন।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি  ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অশোক কুমার বিশ্বাস ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:  ৭ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস