ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনের তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জুনাইদ আহমেদ পলক‘মেক ইন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৭। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের এই প্রদর্শনী।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
১৮ অক্টোবর পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজ (সিসিএ) এ প্রদর্শনীর আয়োজনে সহযোগী। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও), সিটিও ফোরাম, ই-ক্যাব, বিআইজেএফ এ প্রদর্শনীর অংশীদার।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে প্রযুক্তি খাতের আদর্শ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার বিশাল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্ররুক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি উৎপাদন, সংযোজনে ব্যবহার হয় এমন কাঁচামাল, যন্ত্রাংশে বিদ্যমান শুল্ক কমিয়েছি। ৯৪ ধরনের কাঁচামাল, যন্ত্রাংশে আগের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শুল্ক এখন মাত্র ১ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইটি-আইটিএস ও হার্ডওয়্যার রফতানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ফলে এ খাতে আমরা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচনা করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশীয় হার্ডওয়্যার শিল্পের বিকাশ ও এ শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিএস-এর সভাপতি আলী আশফাক, মহাসচিব সুব্রত সরকার।
তৃতীয়বারের মতো এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রদর্শনীকে স্থানীয় উৎপাদক, আইওটি ও ক্লাউড, পণ্য প্রদর্শনী, ইনোভেশন, মিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারারস, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, মেগা সেলস, সেমিনার, বিটুবি ম্যাচমেকিং ও হাইটেক পার্ক- এরকম ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ১৩২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, জাপানসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রায় অর্ধশত খ্যাতিমান বক্তা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি-ব্যক্তিত্ব এবং উৎপাদক ও উদ্যোক্তারা এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাবে। দর্শনার্থীদের জন্য ডিজিটাল সেবা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গেমিং, সেলফি, কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাও থাকছে এবারের প্রদর্শনীতে।