তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীতে পুরস্কার পেলো সেরা ৫ উদ্ভাবন

ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরামেক ইন বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো তিনদিনের তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে পর্দা নামলো বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৭ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এবার অনুষ্ঠিত হয় এই প্রদর্শনী।
আয়োজকরা জানান, এবারের আইসিটি এক্সপোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে উৎপাদক দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা।
মেলায় পাঁচটি উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করা হয়। এসব উদ্ভাবনকে বেসরকারি খাত থেকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচ উদ্ভাবন হচ্ছে- নুসরাত জাহানের ইন্টারঅ্যাকটিভ আটিফ্যাক্ট। এটি কাইনেক্টভিত্তিক সাইকোথেরাপি সিস্টেম। দ্বিতীয় হয়েছে চুয়েটের মনসুর ইসলামের ডেভেলপমেন্ট অব অটোমোটেড অ্যাংকল ফুট অথসিস ফর ফুট ড্রপ পেশেন্টস। তৃতীয় হয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ওয়াচ আইটি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের সহকারী ডিভাইস। চুতর্থ হন আনিসুর রহমান। তিনি ইনফোকেয়ার উদ্ভাবন করেন। এটি ডিজিটালভাবে প্রেসক্রিপশন তৈরির পদ্ধতি। পঞ্চম হন সিমেড হেলথের ড. খন্দকার এ মামুন। তিনি সিমেড হেলথ উদ্ভাবন করেন।
নতুন এ উদ্ভাবনগুলো সম্পর্কে মেলার আহ্বায়ক সুব্রত সরকার বলেন, উদ্ভাবনগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে সফল করতে ইন্ড্রাস্ট্রির পক্ষ সহযোগিতা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ছিল নতুন উদ্ভাবকদের সহযোগিতা করা। তাদের উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্ম দেওয়া। আমরা সেটি করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে আমরা অত্যন্ত সফল একটি আয়োজন সম্পন্ন করেছি এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখব।

প্রদর্শনীর শেষ দিন শিশুদের ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। রাতে ছিল অ্যাওয়ার্ড নাইট।