সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি কী নিরাপদ

সেমিনার শেষে অংশগ্রহণকারীরাযেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অাইডিতে জন্ম তারিখ, ছবি, বন্ধু তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনও তথ্য যদি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্টটি কোনও ভাবেই নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে অপরাধ গবেষণা বিষয়ক সংগঠন ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (ক্রাফ)।


অতিসম্প্রতি রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে সাইবার সিকিউরিটি: স্বাধীনতা, গোপনীয়তা, কর্তব্য শীর্ষক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতামূলক সেমিনারে ক্রাফের বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ক্রাফের সহ-সভাপতি তানভীর জোহা বলেন, আমরা যেসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করি, সেখানে প্রায় সময়ই নিজেদের জন্ম তারিখ, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি বা সম্ভাব্য গন্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে স্ট্যাটাস আপডেট করে থাকি। কিন্তু এই তথ্যগুলো থেকেই যে আমাদের এই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে তা আমরা অনেকেই জানি না। এই কারণেই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো কোনভাবেই নিরাপদ নয়।
বর্তমান সময়ের হ্যাকাররা প্রযুক্তি নিয়ে খুবই আপডেট, তাই তারা চাইলেই সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টুলসের মাধ্যমে যেকোনও অ্যাকাউন্টের একসেস নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় অনলাইনভিত্তিক সামাজিক মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যাদি যাতে সবার কাছে উন্মোচিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতনতা, সেই সঙ্গে মানবসৃষ্ট ভুলের কারণে কিভাবে নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে সেই ব্যাপারে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তানভীর জোহা।
অনুষ্ঠানে বাঁচতে হলে জানতে হবে প্রতিপাদ্য নিয়ে আইনবিষয়ক ব্যাপারগুলো নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রভাষক, ল অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ আইনজীবী সাইমুম রেজা পিয়াস। এসময় তিনি, ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে অপরাধ, সাইবার মামলার শাস্তি, পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্পেসে কথা বলার অধিকার, বাংলাদেশে এর বর্তমান অবস্থা ও সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কথা বলেন।
ইউআইইউ কম্পিউটার ক্লাব ও ক্রাফ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।