‘আ্যপিকটা অ্যাওয়ার্ডস’ ৭ ডিসেম্বর

IMG_6493আইসিটি অস্কার খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-২০১৭ আগামী ৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হবে। এ আয়োজন চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত শনিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বেসিস যৌথভাবে এ অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস’র আয়োজন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাপিকটার সদস্যভুক্ত ১৬টি দেশের মধ্যে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, চীন, চীনা তাইপে, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং নেপাল অংশগ্রহণ করবে। মোট ১৫টি  দেশ থেকে চার শতাধিক বিদেশি প্রতিযোগী এই আয়োজনে অংশ নেবে। এছাড়া ১৭টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ১৭৭টি প্রকল্প এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের সামনে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৬৬ জন বিচারক দুইদিন ব্যাপি আয়োজিত প্রকল্প বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিআইসিসি-তে এই ইভেন্টটির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-২০১৭ শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বেসিস এর উপদেষ্টা ও অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস-২০১৭ এর প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি এবং বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭-এর আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদদফরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মালিহা নার্গিস, বেসিস এর সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, পরিচালক উত্তম কুমার পাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অ্যাপিকটার সদস্য দেশ হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে আমরা অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজক দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। কোনও দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একজন স্বপ্নবাজ নেতা, সঠিক পরিকল্পনা ও যথাযথ পরিবেশ দরকার হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের আমাদের সেই নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের দেশ দিয়ে গেছেন, ভাষা দিয়ে গেছেন, স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি আসার আগেই দেশি বিদেশি চক্রান্তের শিকার হয়ে তাঁকে প্রাণ দিতে হলো। একটা আত্মবিশ্বাসহীন এবং স্বপ্নহীন মানুষ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে কোনও স্বপ্ন বা আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল না। ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন। তাদের মনে আশার সঞ্চার করতে পেরেছেন।  যে কারণে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে ব্যবধানে দেশকে একটি প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দিকে নিতে সক্ষম স্বপ্ন দেখেছি আমরা।’

আরও পড়ুন:
বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করছে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’