জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস মঙ্গলবার

দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হতে যাচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস-২০১৭। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির উদযাপন শুরু হবে।

জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবসপরে সকাল ৮টায় র‌্যালি, বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলোচনা সভা ও জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার-২০১৭ প্রদান এবং সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘কনসার্ট ফর আইসিটি’ আয়োজন করা হবে বলে আইসিটি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সকালের র‌্যালিটি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে। র‌্যালির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বিকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে অনলাইন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহযোগিতায় দেশের ৪১টি জেলার ১২৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে বিকাল ৩টা-৫টা পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ল্যাব থেকে ৩টি দলে ১৫জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন এবং ২০০৯ সালে আমরা জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাওয়ার পর ক্রমান্বয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আমাদের কার্যক্রম দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ও অনুকরণীয়। তাই সার্বিক বিবেচনায় মন্ত্রিসভা গত ২৭ নভেম্বর ১২ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।’