মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কি ক্যান্সারের জন্য দায়ী?

রেডিয়েশন বিকিরণমোবাইল ফোনের রেডিয়েশন ক্যান্সারের জন্য দায়ী কিনা এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। অনেকে মনে করেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার মানবদেহে ক্যান্সার তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এজন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। যদিও যোগাযোগ রক্ষার স্বার্থে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষকেই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে হয়।
প্রায় তিন দশক ধরে মোবাইল ফোন প্রচলিত। যা গত ১০ বছরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন মানুষের ক্যান্সার তৈরি করত, তাহলে এতোদিনে অসংখ্য ব্যবহারকারী এ রোগে আক্রান্ত হতো। কিন্তু সমাজে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।
পারমাণবিক বা আয়োনাইজিং রেডিয়েশন মানবদেহে ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এটা উচ্চমাত্রার এক ধরনের শক্তি যা মানুষের ডিএনএ নষ্ট করে দেয়। এ কারণে পরবর্তীতে ক্যান্সার হয়। অন্যদিকে ফোনের রেডিয়েশন বা নন-আয়োনাইজিং রেডিয়েশন অনেক কম শক্তিসম্পন্ন। যা মানুষের ডিএনএ দ্রুত নষ্ট করতে পারে না। ফলে এতে ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেক কম। তবে দীর্ঘদিন মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞ জোনাথন সামেট বলেন, এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কিছুটা ক্যান্সার ঝুঁকি রয়েছে। আমি বলছি না, এতে জনস্বাস্থ্য সংকট তৈরি হবে। তবে যেভাবে মোবাইলের গ্রাহক বাড়ছে তাতে এ বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন।
২০১১ সালেও জোনাথন একই কথা বলেছিলেন। এদিকে, মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করা অন্য গবেষকরা বলছেন, মানবদেহে ক্যান্সার তৈরিতে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের কোনও প্রভাব আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যদি প্রভাব থেকেও থাকে, তা খুবই সামান্য। বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।