সরকারকে আগের চেয়ে বেশি তথ্য দিচ্ছে ফেসবুক

ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দেওয়া তথ্যবাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে আগের তুলনায় বেশি তথ্য দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) সরকারের অনুরোধের মধ্যে ৪৫ শতাংশ তথ্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ফেসবুক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরোধে তথ্য দেওয়ার পরিসংখ্যান ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ফেসবুকের কাছে ৪৪টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে সরকার। এর মধ্যে ফেসবুক ২১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকার কোনও অ্যাকাউন্টের কনটেন্ট (পোস্ট, ছবি বা ভিডিও) মুছে ফেলার অনুরোধ করেনি। ১০টি অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণের অনুরোধ করা হয়েছে। আর তথ্য চাওয়া হয়েছে ১১টি অ্যাকাউন্টের।
এছাড়া, আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ২১ জন ফেসবুক ব্যবহারীর তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে ২০টি অনুরোধের মাধ্যমে। এসব অনুরোধের ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ তথ্য দিয়েছে ফেসবুক। এর বাইরে জরুরি হিসেবে সরকার ২৩টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে ২৪টি অনুরোধের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ৬৭ শতাংশ অনুরোধের তথ্য দিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক ছয় মাস পরপর এই ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর আগের প্রতিবেদনে (২০১৬ সালে জুলাই থেকে ডিসেম্বর) ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ ৪৯টি অনুরোধ করেছিল। ওই সময় ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ তথ্য দিয়েছিল ফেসবুক। আর ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফেসবুক জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ৯টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ১০টি অনুরোধ করা হয়।