বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিন দিনের স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এসময় সফটওয়্যার ও সেবা খাতে যেমন ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা রয়েছে, হার্ডওয়্যার খাতেও তেমন কর অবকাশ সুবিধা চালু করা যায় কিনা— সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, দেশের ভেতর হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদন ও এসব পণ্য রফতানিতে উৎসাহিত করতে সরকার প্রণোদনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। দেশীয় কোম্পানির মধ্যে স্যামসাং, ওয়ালটন, সিম্ফনি ও উই দেশেই প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
ভ্যালু অ্যাডেস সার্ভিস (ভ্যাস) নীতিমালার প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ভ্যাস নীতিমালাটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে, চূড়ান্ত হচ্ছে না। এটাতে গতি আনতে হবে। তাহলে ইন্টারনেট দুনিয়ায় কনটেন্টের একটা বিশাল বাজার তৈরি হবে। আমাদের তরুণরা তখন ইন্টারনেটে ঢোকার মতো কনটেন্ট পাবে। ইন্টারনেটের তখন কার্যকর ব্যবহার হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেটের রাস্তা বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা তা বানাবো। সারাদেশে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় বড় বাজারে ওয়াইফাই হটস্পট তৈরি করে সে রাস্তা বানানোর কাজ করব।’ এই কাজে তিনি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পলক বলেন, ‘দেশে মোবাইল ফোনের বাজার ১৫ হাজার কোটি টাকার। ২০২১ সাল নাগাদ মোবাইল ফোন বাজারের বেশিরভাগ অংশ থাকবে দেশীয় ব্র্যান্ডের ফোনের দখলে। সে সময় আমরা এই ১৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারব।’ প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রফতানিতে ১০ শতাংশ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে বছরে ৩ কোটি ৪০ লাখ মোবাইল ফোন আমদানি করা হয়। এর মধ্যে স্মার্টফোনের সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও কম। অনুষ্ঠানে মেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সপো মেকার আয়োজিত এই মেলা চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাব বিশেষ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে উপহার।
আরও পড়ুন-
ফেসবুকের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবা বন্ধ হচ্ছে