ইন্টারনেটের গতি হতে হবে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী: তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী ইন্টারনেটের গতি পায় না। এটা ঠিক নয়। গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ইন্টারনেটের গতি নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাহক যতটুকু গতি চান তাকে সেই অনুযায়ী ইন্টারনেট দিতে হবে। এই ব্যব্স্থা কার্যকরের জন্য আমরা যথাযথ উদ্যোগ নেবো।’ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘সারাদেশের মানুষ একদামে ইন্টারনেট পায় না। অথচ হওয়া উচিত, সবাই একদামে ইন্টারনেট পাবে। আমরা প্রতিটি বাসাবাড়িতে যেন ১ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা করবো। এই চেষ্টা সফল হলে ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা বাসাবাড়িতে ১ জিবিপিএস গতি ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারবো।’

নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবেন বলে জানান তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। এছাড়া নিজের বিভাগের উন্নয়ন, ডটবিডি ও ডটবাংলা ডোমেইন নিবন্ধন সহজ করা, টেলিটকের কলরেট কমানো, বিটিসিএলকে লাভজনকে পরিণত করার বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

মোস্তফা জব্বার জানান, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। তার কথায়, ‘২০৪১ সালে আমরা কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে উন্নীত হবো।’

জুনাইদ আহমেদ পলকএ আয়োজনের শিরোনাম ছিল— ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরও চার বছর’। আইসিটি বিভাগের গত চার বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, শিগগিরই আইসিটি বিভাগ থেকে চালু করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু আইসিটি গ্র্যান্ট’ শীর্ষক বৃত্তি। এছাড়া মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফিউচার টেকনোলজি (শিফট) চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘লার্নিং আর্নিং প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের তরুণরা এ পর্যন্ত ৬ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। ২০১৮ সালে আরও ৪০ হাজার তরুণকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া দেশের ২৮টি হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করা হবে ১০০ কোটি ডলার।’

এ সময় দেশে প্রথমবারের মতো আইসিটি দিবস উদযাপনের আগ্রহ দেখিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। জরুরি হেল্পডেস্ক ৯৯৯ আইসিটি বিভাগ থেকেই চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বিভাগের কর্মকর্তারা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।