রবিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের সব আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা পাঠিয়ে জানায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে হবে। বিটিআরসি’র এ নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন ইয়াসিন ফিদা হোসেইন। শুধু ইয়াসিন ফিদা হোসেইন নয়; এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের আরও অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী। শাহেদ রিমন নামে একজন লিখেছেন, ‘কবে না জানি আবার ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইনের পরিবর্তে সুপার গ্লু খাইয়ে দেয়।’
শফি আহমেদ নামে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন লিখেছেন, ‘আমার খুব মাথাব্যথা। ব্যাপারটা শিক্ষামন্ত্রী বা বিটিআরসি’কে জানাবেন না, নয়তো মাথা যাবে।’
ইশতিয়াক শামীম নামে একজন লিখেছেন, ‘কী বোকার মতো চিন্তা! দয়া করে, ইন্টারনেটের গতি স্লো করবেন না।’
সাইফ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, মাথাব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলবেন? উত্তর যদি না হয়, তবে জাতির সঙ্গে এই সার্কাস কেন।’
শাখায়াত রানা নামের একজন লিখেছেন, ‘মাথাব্যথা হলে কিছুক্ষণের জন্য মাথা কেটে রেখে দেওয়ার চেয়ে ওষুধ নেওয়া শ্রেয় নয় কি।’
শরিফুল আহসান নামে এক এনজিও কর্মী লিখেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসকে যারা এখনও গুজব বলে এবং পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ রাখার মতো হাস্যকর ভাবনা ভাবে, তাদের হাতে আর যাই হোক, দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় মানায় না। বলেন তো আপনারা, সরকারের কোন দফতর তাদের দেওয়া যায়।’
মাহি শামীম নামে এক আইনজীবী লিখেছেন, ‘ইন্টারনেট স্লো (মতান্তরে বন্ধ) করে দেওয়া যদি হয় সেরা সমাধান, তাহলে এটাও স্বীকার করে নেওয়া ভালো, সব ডিজিটালাইজড করা এদেশের বড় সমস্যা। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য রেডি না, এডমিট ইট?’