ইন্টারনেট ধীর গতিতে রাখার নির্দেশনায় তোলপাড় ফেসবুকে

fb‘ইন্টারনেট বন্ধ হলেও প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনে একদিনের জন্য হলেও মোবাইল ফোন ও ল্যান্ডফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেখা হোক, প্রশ্নফাঁস হয় কিনা। যে জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রশ্নফাঁসের ছোবলে, সেই জাতির দুই ঘণ্টা নেটওয়ার্ক ধীর গতিতে রাখার ক্ষতি সহ্য করে নিতে হবে বৈকি।’ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগার ও কবি ইয়াসিন ফিদা হোসেইন ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
রবিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের সব আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা পাঠিয়ে জানায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে হবে। বিটিআরসি’র এ নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন ইয়াসিন ফিদা হোসেইন। শুধু ইয়াসিন ফিদা হোসেইন নয়; এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের আরও অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী। শাহেদ রিমন নামে একজন লিখেছেন, ‘কবে না জানি আবার ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইনের পরিবর্তে সুপার গ্লু খাইয়ে দেয়।’
আজাদ আবুল কালামআজাদ আবুল কালাম নামে এক এনজিও কর্মী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ইন্টারনেট বন্ধ! এইবার কাজ না হলে পরে কিন্তু ছাপাখানাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
শফি আহমেদ নামে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন লিখেছেন, ‘আমার খুব মাথাব্যথা। ব্যাপারটা শিক্ষামন্ত্রী বা বিটিআরসি’কে জানাবেন না, নয়তো মাথা যাবে।’



Captureসালামত উল্লাহ নামে এক সাংবাদিক লিখেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিয়েছেন, খুবই যুগান্তকারী পদক্ষেপ! কাজের কাজ কিছুই হবে না, মাঝখানে মাথায় হাত পড়বে ই-কমার্স ব্যবসায়ী ও অনলাইন পেশাজীবীদের!’

ইশতিয়াক শামীম নামে একজন লিখেছেন, ‘কী বোকার মতো চিন্তা! দয়া করে, ইন্টারনেটের গতি স্লো করবেন না।’


সাইফ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, মাথাব্যথার জন্য কি মাথা কেটে ফেলবেন? উত্তর যদি না হয়, তবে জাতির সঙ্গে এই সার্কাস কেন।’
শাখায়াত রানা নামের একজন লিখেছেন, ‘মাথাব্যথা হলে কিছুক্ষণের জন্য মাথা কেটে রেখে দেওয়ার চেয়ে ওষুধ নেওয়া শ্রেয় নয় কি।’
জায়াদুল আহসান পিন্টুবেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি'র এডিটর জায়াদুল আহসান পিন্টু লিখেছেন, 'শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় কিনা ভাবছে, মূর্খ আর কাকে বলে।’
শরিফুল আহসান নামে এক এনজিও কর্মী লিখেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসকে যারা এখনও গুজব বলে এবং পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ রাখার মতো হাস্যকর ভাবনা ভাবে, তাদের হাতে আর যাই হোক, দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় মানায় না। বলেন তো আপনারা, সরকারের কোন দফতর তাদের দেওয়া যায়।’শরিফুল আহসান
মাহি শামীম নামে এক আইনজীবী লিখেছেন, ‘ইন্টারনেট স্লো (মতান্তরে বন্ধ) করে দেওয়া যদি হয় সেরা সমাধান, তাহলে এটাও স্বীকার করে নেওয়া ভালো, সব ডিজিটালাইজড করা এদেশের বড় সমস্যা। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য রেডি না, এডমিট ইট?’