চালু হওয়ার পর প্রতিদিন বাংলালিংক নেটওয়ার্কে ২০-২২ হাজার ফোরজি গ্রাহক যুক্ত হচ্ছেন। সেই হিসেবে গত এক সপ্তাহে অপারেটরটির নেটওয়ার্কে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক ফোরজি ব্যবহার করছেন। তবে ফোরজি স্মার্টফোনের স্বল্পতার কারণে গ্রাহক প্রবৃদ্ধি কম হচ্ছে। ফোরজি সেটের সংকট কেটে গেলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ।
এরিক অস বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৫ সালে যে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলালিংক তা এই মাসে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তরঙ্গ (স্পেক্ট্রাম) সংযোজন, ফোরজি ও টেক নিউট্রালিটির প্রয়োগ নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের সেবার মানকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।’
এছাড়া বাংলালিংক সিম ফোরজিতে বদলে নিতে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনও টাকা নিচ্ছে না। যেকোনও বাংলালিংক ব্যবহারকারী গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গিয়ে বিনা খরচে তার পুরনো সিমটি বদলে ফোরজি সিম সংগ্রহ করতে পারবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ফোরজি নেটওয়ার্কের দ্রুত গতির ইন্টারনেট বাংলালিংক গ্রাহকদের জিরো-বাফার এইচডি ভিডিও স্ট্রিমিং, এইচডি কোয়ালিটির ভিডিও কলিং, হাই ফিডেলিটি মিউজিক স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও অন্যান্য ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থিক সেবার মান বৃদ্ধি করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে ফোরজি। বাংলালিংক এরই মধ্যে প্রধান বিভাগীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে ফোরজি সেবা চালু করেছে। রমজান মাসের আগেই দেশের ৩০ শতাংশ এলাকা ফোরজি কাভারেজের আওতায় নিয়ে আসবে বলে জানায় বাংলালিংক।