পলক বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ প্রোগ্রামার প্রয়োজন হবে। উন্নত বিশ্বের এই চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার ২৮টি আইটি পার্ক এবং তিন লাখ প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করছে। এক্ষেত্রে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তো বটেই, সারা বিশ্বে এমন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কম আছে, যারা শিক্ষার্থীদের হাতে বিশ্বজয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ বিনামূল্যে তুলে দেয়। বাংলাদেশে আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি। এজন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান পলক। তিনি বলেন, ল্যাপটপ দিয়ে শুধু ফেসবুক, টুইটার আর ইউটিউব দেখলেই চলবে না। মনে রাখতে হবে, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কিশোর বয়সেই প্রোগ্রামিং শিখেছিলেন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ১৯ বছর বয়সেই ফেসবুক তৈরি করেছেন। তাহলে তোমরা কেন পিছিয়ে থাকবে? স্বপ্ন আর নিষ্ঠা থাকলে তোমরাও
সফল হবে। তোমাদের স্লোগান হোক, ‘এক শিক্ষার্থী, একটি ল্যাপটপ, একটি স্বপ্ন।’
ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের আর্ট অব লিভিং শিক্ষা দেয়, চাকরির বাজার উপযোগী ৩৬০ ডিগ্রি কোর্স করায় এবং বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করে যাতে তারা নিজেদের দক্ষ ও যোগ্যরূপে গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার ও ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করেছে।