বিএমপিআইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে দেশে স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৭ শতাংশ যা ২০১৭ সালে ১ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিএমপিআইএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে দেশে ফিচার ফোন আমদানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ। ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩০ লাখ। স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি এক শতাংশ ও ফিচার ফোনের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। তবে সব দেশের মোবাইলফোন মিলিয়ে এ বাজারের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছরের শুরু থেকে স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েছে। গতে মাসে ফোরজি চালুর পরে স্মার্টফোনের চাহিদা ঊর্ধমুখী। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রবৃদ্ধির তালিকায় ফিচার ফোনকে ছাড়িয়ে যাবে স্মার্টফোন- এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়- ২০১৭ সালে টাকার হিসেবে স্মার্টফোন বিক্রিতে স্যামসাংয়ের শেয়ার ছিল ২৬ শতাংশ; সিম্ফনির ২১, হুয়াওয়ের ১৩, অপোর ১০, ওয়ালটনের ৬, লাভার ৫, শাওমির ৪, আইটেল ও নকিয়ার ৩ এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের শেয়ার ছিল ৯ শতাংশ।
মোবাইলফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক জানান, গত বছর বেশ কিছু কারণে স্মার্টফোন বিক্রি আগের বছরের সমান হয়েছে। গত বছর ৮০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হলেও তা আগের বছরের চেয়ে বেশি নয়। এর পেছনে মোবাইলফোন আমদানিতে বাড়তি কর আরোপ একটি বড় বিষয় বলে তিনি মনে করেন। এ কারণে কম দামের স্মার্টফোনের গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়নি। এছাড়া অবৈধ পথে (গ্রে মার্কেট) দেশে স্মার্টফোনের প্রবেশ বেড়েছে, যা বৈধ আমদানির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ‘অরিজিনাল’ হিসাবে তা যুক্ত হয়নি। তবে এ বছর স্মার্টফোনের বিক্রি অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করছি।
মোবাইলফোন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন- স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি বেশি না হওয়ার পেছনে রয়েছে এর দাম, বাড়তি কর ইত্যাদি। আগামী বাজেটে মোবাইলের ওপর থেকে যদি বাড়তি কর প্রত্যাহার করা হয় তাহলে স্মার্টফোনের দাম কমবে, বাজারও বাড়বে।
এ ব্যাপারে শাওমি মোবাইলের পরিবেশক এসইবিএল-এর প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন জানান, প্রতিবেদন অনুসারে শাওমির অবস্থান মোটামুটি ঠিকই আছে। ২০১৮ সালে এই অবস্থান পরিবর্তন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে এক বছরের পরিসংখ্যান দেওয়া হলেও প্রকৃত অর্থে আমরা ব্যবসা করেছি ২০১৭ সালের শেষ ৫ মাস। এ বছর ফোরজি চালু হয়েছে। বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে। আশা করছি এবার প্রবৃদ্ধি ভালো হবে।’