তৃতীয় বিপিও সামিট ১৫ ও ১৬ এপ্রিল

১৫ ও ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিটতৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিপিও সামিট বাংলাদেশ। আগামী আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের এই আয়োজন। বিপিও খাতের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিপিও সামিট সফল করতে সম্প্রতি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সেমিনার হলে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই হয়েছে।
দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিপিও খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। সামিটের আয়োজকরা জানান, প্রযুক্তি ব্যবসা, বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে। সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগও তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য।
আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নতুন প্রযুক্তিকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে। তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপিও খাতে তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। এখাতে তরুণরা যত বেশি কাজ করতে আগ্রহী হবেন, বৈদেশিক মুদ্রার আয় আমাদের তত বাড়বে।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা ও পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা। গত দুইবারের সফল আয়োজনের পর এবার আরও বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হচ্ছে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
এবারের আয়োজনে ৮০ জন স্থানীয় ও ৩০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা অংশ নেবেন। এ ছাড়া, সামিটে ১৩টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
দুই দিনের মূল আয়োজনের আগে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এবারও এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি আয়োজন করছে সরকারের আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।