দেশে অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান

অনুষ্ঠানে অংশ নেন হ্যাম রেডিও প্রেমীরাপ্রকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রচলিত টেলিকম নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত হলে ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধারকারীদের সাহায্যের জন্য রাষ্ট্রের অঘোষিত দূত হিসেবে কাজ করেন একজন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বা হ্যাম। তাই এই দুর্যোগপূর্ণ দেশে আরও অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।  

তারা বলেন, পৃথিবীতে ৩০ লাখের বেশি হ্যাম থাকলেও এদেশে সংখ্যাটা হাতে গোনা। সরকারের পাশাপাশি অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের উচিত হ্যামদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যামেচার রেডিও দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অ্যামেচার রেডিও প্রসপেক্টস, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড হাই টু ওভারকাম দেম শিরোনামের এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানো স্যাটেলাইট টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ (ন্যাসটার) ও অ্যামেচার রেডিও অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এআরএবি)।

সেমিনারে দুর্যোগের সময় অ্যামেচার রেডিও অপারেটরের ভূমিকা উল্লেখ করেন অ্যামেচার রেডিও অপারেটর বাংলাদেশের (এআরএবি) আহ্বায়ক তৌফিক রহমান। তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের এখনও অ্যামেচার রেডিও সম্পর্কে ধারণা নেই। অথচ দুর্যোগের সময় এই অ্যামেচার রেডিও অপারেটররাই যোগাযোগের মূল মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রফেসর ড. মো. খলিলুর রহমান বলেন, পৃথিবীর সবদেশেই হ্যাম চর্চা অব্যাহত রয়েছে। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজ। এজন্য কোনও পারিশ্রমিক আশা করা যাবে না্। হ্যাম কমিউনিটি বাড়ানোর জন্য আমাদের নিয়মিত সভা-সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে।

সেমিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অ্যামেচার রেডিও অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।