মোবাইল ফোন শিল্পের বিকাশে বাধা উচ্চ কর হার


মোবাইল ফোন শিল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানউচ্চ কর হার দেশে মোবাইল ফোন শিল্পের বিকাশে বাধা বলে মনে করে টেলিযোগাযোগ খাতের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ। রবিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সংযোগে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকালে এমন মন্তব্য করেন জিএসএমএর হেড অব পাবলিক পলিসি (এশিয়া প্যাসিফিক) ইমানুয়েলা লেচি। এ সময় দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির উপস্থিত ছিলেন।  
















অনুষ্ঠানে বলা হয়, স্পেক্ট্রামের (তরঙ্গ) দাম বেশি (এক মেগাহার্টজ তিন কোটি ১০ লাখ ডলার) হওয়ায় তা কম বিক্রি হয়েছে। দাম যৌক্তিক হলে আরও বেশি বিক্রি হতো এবং অপারেটরগুলোর সেবার মান আরও ভালো হতো। অপারেটরগুলো মনে করে এক মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম হওয়া উচিত দেড় কোটি ডলার। 

টিআইএম নুরুল কবির বলেন, ‘তরঙ্গের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।’ অনুষ্ঠানে বলা হয়, ফোরজির প্রসারে শুল্কমুক্ত মোবাইল ফোন আমদানি, সিম ট্যাক্স উঠিয়ে নেওয়ারও আবেদন জানানো হবে। 
এতে জানানো হয়, যেখানে পিএসটিএন কলের জন্য সরকারকে কর দিতে হয় চার দশমিক ৫ শতাংশ, সেখানে মোবাইল ফোনে একটি কলের জন্য গ্রাহককে কর দিতে হয় ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদন প্রকাশকালে জানানো হয়, দেশে এখনও মাত্র ২১ শতাংশর কম মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। সংখ্যায় এটি সাড়ে তিন কোটি। যদিও সরকারের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যবহারকারী ৮ কোটি ৩১ লাখ ৪১ হাজারI ৫ বছর পরও থ্রিজি ব্যবহারের হার মাত্র ২৯ শতাংশ।

এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ‘ইন্টারনেট স্পিডের’ হার সবচেয়ে খারাপ। নেপাল বা মিয়ানমারের মতো দেশেও স্পিড বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ। এ দেশের জনগণের মধ্যে ইন্টারনেট প্রসারে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ক্রয়ক্ষমতা। বর্তমানে যে ডেটা রেট রয়েছে, তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে একজন নিম্নবিত্ত ব্যক্তির মাসিক আয়ের ১০ ভাগের বেশি দিতে হবে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে।

সাংবাদিক সংযোগ অনুষ্ঠানে রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামালসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।