বাংলালিংক গ্রাহকদের ভোগান্তি

banglalinkমোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের গ্রাহকরা বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। কথা বলতে বলতে কল কেটে যাওয়া, কল না যাওয়া, নেটওয়ার্ক না থাকা, ইন্টারনেটে ধীর গতি- এসব সমস্যা ছিল দিনব্যাপী। যদিও যোগাযোগ করলে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বুধবার তাদের নেটওয়ার্কে কোনও সমস্যা হয়নি।
নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার শিকার রাজধানীর পান্থপথ, ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকার কয়েকজন গ্রাহক বাংলা ট্রিবিউনের কাছে মোবাইল ফোনে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) থেকে বাংলালিংকের নেটওয়ার্কে সমস্যা প্রকট হচ্ছে।
মোবাইল ফোন খাতের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, ফোরজি আসার পর নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে সেবার মান অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় নাজুক। ফোরজিতে ‘নেটওয়ার্ক’ সিক্রোনাইজেশনের সময় নেটওয়ার্কগুলোতে ঝামেলা হচ্ছে। এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বাংলালিংকেও এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়া ও হাইট্রাফিকের (কলের হার বেড়ে যাওয়া) কারণে অনেক সময় এ ধরনের ঘটনা হয়। তবে এমন হয়ে থাকলে বাংলালিংক দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করে। অপারেটরটি সবসময় গ্রাহকের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট। গ্রাহকের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা সমাধানেরও উদ্যোগ নেয় বলে জানিয়েছেন তারা।
মোবাইল ফোনের সাম্প্রতিক সময়ে সেবার মান নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘মোবাইল সেবাদানের বিষয়ে অপারেটরগুলোর সঙ্গে আমরা কোনও ধরনের আপস করছি না। কোনও সুযোগও নেই। সেবার মান ভালো করতেই হবে। তবে তাদেরকে সময় দিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী তারা নেটওয়ার্ক রোলআউটের জন্য ছয় মাস সময় পাবে। আমরা এখন সেই সময় অতিক্রম করছি। সমস্যা যা হচ্ছে, তা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।’

মন্ত্রীর সঙ্গে একমত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবির। তার আশা, ছয় মাসের মধ্যে এসব সমস্যা দূর হবে। তিনি বলেন, ‘দেশ এখন প্রযুক্তিগত ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে কিছু কিছু জায়গায় নেটওয়ার্কজনিত সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। টেক নিউট্রালিটিও (প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা) করা হচ্ছে।’