বিশ্বসেরা সুপার কম্পিউটার এখন যুক্তরাষ্ট্রের

সুপার কম্পিউটারবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই কম্পিউটারের নাম সামিট। এটা প্রতি সেকেন্ডে ২ লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব-নিকাশ করতে সক্ষম। সামিটের আগে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির কম্পিউটার ছিল সানওয়ে টাইহুলাইট। চীনের তৈরি এ কম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব-নিকাশ করতে পারতো।
অর্থাৎ সানওয়ে টাইহুলাইটের চেয়ে সামিট প্রায় দ্বিগুণ শক্তিশালী। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুর দিকে সামিটকে জটিল গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে মহাকাশ, ক্যান্সার, ও জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণায় ব্যবহার হবে সামিট। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির এই কম্পিউটারটি রাখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ওয়াক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে।
আইবিএম ও এনভিডিয়ার সহায়তায় এখানেই এটা তৈরি করা হয়েছিল। সাধারণত সুপারকম্পিউটার আকারে বেশ বড় হয়। এর পরিচলন ব্যয়ও অনেক বেশি। এছাড়া জটিল সব কাজ করার জন্য এতে হাজার হাজার প্রসেসর সংযুক্ত থাকে। এদিক থেকে সামিটের রয়েছে ৪ হাজার ৬০৮টি কম্পিউটার সার্ভার এবং ১০ পেটাবাইট মেমরি। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারের মালিক হওয়া প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব এনার্জি রিক পেরি বলেন, আমরা একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি। এই প্রতিযোগিতায় কে জেতে সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বকে নিজেদের সামর্থ্যের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা প্রতিযোগিতায় দারুণভাবে ফিরে এসেছি।
প্রসঙ্গত, শীর্ষ সুপার কম্পিউটারের সর্বশেষ তালিকা প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। সেই তালিকায় দেখা যায় শীর্ষ ৫০০টি সুপার কম্পিউটারের মধ্যে ২০২টি চীনের এবং ১৪৩টি যুক্তরাষ্ট্রের।

সূত্র: বিবিসি