কম্পিউটার থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বিসিএস

বিএসএস’র সংবাদ সম্মেলন২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বাড়বে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস।সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বাড়লে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি থমকে যাবে। এজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটারের উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা।
রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির বিসিএস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক (ভ্যাট) অব্যাহতি বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সংগঠন বিসিএস যথাযথ গুরুত্ব ও আগ্রহের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। এতে কিছু সংশোধনী আনার জন্য অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোডসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি বলেন, বিসিএস’র সংশোধনী প্রস্তাবগুলো হলো-ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যাহতি বহাল রাখা, নতুন করে আরোপিত কম্পিউটার পণ্যের ওপর এটিভি প্রত্যাহার করা এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকে অন্তর্ভুক্তিতকরণ। এজন্য যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কিছু সেবা অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সংযোজন এবং সেবা প্রদানকারী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই। অথচ এই অংশগুলো ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনও কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এজন্য বিসিএস’র পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার ও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত সরকার আরও বলেন, কম্পিউটারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস, আইপিএস প্রয়োজনীয় পণ্য। তাই আমরা এই পণ্যের শুল্কহার আগের ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আইসিটি প্রতিষ্ঠানের বাড়িভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক মওকুফ করা হোক। এখাতে উদ্যোক্তারা অত্যন্ত স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতের বাড়ি ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ মূসক ধার্য করা করা হয়েছে যা ব্যবসাবান্ধব নয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস’র সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান জুয়েল ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।