ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে, ভ্যাট হচ্ছে ৫ শতাংশ

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অফিস কক্ষে তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

অবশেষে সেই বহুল প্রতীক্ষিত সুখবর এসেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ধার্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই সিদ্ধান্তে এখন থেকে ১০০ টাকায় যে ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হতো গ্রাহককে, এখন থেকে দিতে হবে ৫ টাকা। সব ধরনের ইন্টারনেটের ওপর এটা প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।

মোস্তাফা জব্বার সোমবার সচিবালয়ে তার দফতরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি ভ্যাট ৫ শতাংশ করে ফাইলে সই করেছেন। ফলে এখন থেকে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট পাসের দিনই প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেবেন। এরপরই এটি কার্যকর করা হবে।’

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বেলা একটা সাত মিনিটে অর্থমন্ত্রীর অফিসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একটি অসাধারণ অর্জন দিয়ে দিন শুরু করলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘একবারেই ১০ শতাংশ খরচ কমবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের।’

তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এতে ইন্টারনেট সেবার দাম কমবে না। গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কেনার (ব্যবহারের) খরচ কমবে। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল ইন্টারনেটের দাম কমানোর।

প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট থেকে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর), শুল্ক ও সারচার্জ বাবদ সরকারের আয় হয় বছরে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাটের বিষয়ে কোনও সুখবর ছিল না। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সাত সংগঠন যৌথভাবে কর ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। গত বুধবার (২০ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বিষয়ে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ওই সাত সংগঠন।