কম্পিউটারের দাম বাড়ছে না, কমবে না বিদেশি সফটওয়্যারের আমদানি কর

f82b312bdf17677f6a203039af46b178-5b1931a9911d2২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে খুচরা পর্যায়ে কম্পিউটার বিক্রিতে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে কম্পিউটার কিনতে আর বেশি টাকা গুনতে হবে না। একইভাবে বিদেশি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক কমানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে। ফলে বিদেশি সফটওয়্যার (ডাটাবেজ, অপারেটিং সিস্টেম, ডেভেলপমেন্টস টুল, প্রোডাক্টিভিটি) আমদানিতে আগের মতোই উচ্চ কর দিতে হবে। 

সোমবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খুচরা পর্যায়ে কম্পিউটার বিক্রির ওপর প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া, চার ক্যাটাগরির বিদেশি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক ৫৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে এসব সফটওয়্যার আমদানি করতে হলে উচ্চহারে কর দিয়েই আনতে হবে।’ দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প রক্ষার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ  (২৫ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দুপুর ১টার দিকে অর্থমন্ত্রীর অফিসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। অর্থমন্ত্রী ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। একটি অসাধারণ অর্জন দিয়ে দিন শুরু করলাম।’

জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের পর থেকে দেশের কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে, প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বাড়বে। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বাড়লে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি থমকে যাবে। এজন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটারের উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটিভি নয়,খুচরা বিক্রি পর্যায়ে শুধু ভ্যাট (৫ শতাংশ) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

গত রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির বিসিএস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক (ভ্যাট) অব্যাহতি বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।

অন্যদিকে, এবারের বাজেট প্রস্তাবনায় ডাটাবেজ, অপারেটিং সিস্টেম, ডেভেলপমেন্টস টুল, প্রোডাক্টিভিটি, অটোমেটিক ডাটা প্রসেসিং মেশিনের জন্য কমিউনিকেশন বা কোলাবরেশন সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে ৪০ শতাংশ দেখালেও আমদানি মোট খরচ (শুল্ক, ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে) প্রায় ৫৯ শতাংশ। এটিকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।