বেলুনের সাহায্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার এই প্রকল্পের নাম প্রজেক্ট লুন। শুরুর দিকে অ্যালফাবেটের অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে এটা চালু হয়েছিল। এ মাসের শুরুতে পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে লুন। আর পূর্ণভাবে ব্যবসা শুরুর প্রথম কাজটিই তারা পেয়েছে কেনিয়ায় ইন্টারনেট সরবরাহের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, টেলকম কেনিয়ার সঙ্গে লুন জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করলে অঞ্চলটির যোগাযোগ ক্ষেত্রে একচেটিয়া অবস্থার তৈরি হতে পারে। যদিও লুন কিংবা টেলিকম কেনিয়ার কেউই এটা নিয়ে মন্তব্য করেনি। ইন্টারনেট সরবরাহের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির চুক্তি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায়নি।
ইন্টারনেট সেবাদান প্রসঙ্গে টেলকম কেনিয়ার প্রধান নির্বাহী আলডো মারুয়েস বলেন, মোবাইল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা লুনের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করবো। যত দ্রুত সম্ভব এই সেবা চালু করা হবে।
লুন প্রকল্পের বেলুন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করবে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অবস্থান বিমানপথের বাইরে। এছাড়া এতে বজ্রপাত ও হিংস্র প্রাণীর উপস্থিতি নেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বেলুনের প্রতিটির আকার একটা টেনিস কোর্টের সমান। এগুলো পলিইথিলিন দিয়ে তৈরি এবং হিলিয়াম গ্যাসে ভর্তি থাকে। সোলার প্যানেল দিয়ে এসব বেলুন পরিচালিত হয়।
প্রত্যেকটা বেলুনে একটি করে অ্যান্টেনা রয়েছে। যেগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে ইন্টারনেট সিগনাল গ্রহণ করবে। প্রতিটি বেলুন ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সেবা দিতে সক্ষম।
সূত্র: ইন্টারনেট