মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি

মোবাইল ইন্টারনেট

মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি ধীর হওয়ার অভিযোগ করছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। তারা বলছেন শনিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। তবে আইএসপি সেবার গতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে, মোবাইল ডাটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।  তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়ানো ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটার পর সন্ধ্যা থেকেই ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে গেছে। তবে গ্রাহকদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়টি স্বীকার করেননি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ধরনের (ইন্টারনেট বন্ধ) কোনও নির্দেশনা পাননি বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী  মোস্তাফা জব্বার বলেন, এমন কোনও কিছু আমি জানি না। আর এটা তো বন্ধ করার বিষয় নয়। কারিগরি কারণেও সমস্যা হতে পারে।

বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ইন্টারনেট বন্ধের মতো কোনও সিদ্ধান্তের কথা আমরা এখনও জানি না। কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে কোনও নির্দেশনা এলে আমরা তা পালন করবো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন, গ্রামীণফোনের মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ লিখেছেন ইন্টারনেটের স্পিড খুব স্লো। অনেকেই ধারণা করছেন, এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখা ও শেয়ার করা ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারনেটের গতি কমানো হলে এমনটা হতে পারে। নেট থাকবে, দেখাবে লোডিং। নেট পাওয়া গেলে মেইল চেক করা গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা ভিডিও শেয়ার দেওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোবাইল অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেটের গতি ১২৮কেবিপিএস করে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কেউই উদ্ধৃত হয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

মোবাইল ইন্টারনেট কার্যত অচল। শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতি কমতে থাকলেও রাত পৌনে ১১টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট নেই বললেই চলে। কখনও কখনও ইন্টারনেট আসছে। এজ (edge) লেখা দেখাচ্ছে, যাকে ২জি ইন্টারনেট বলে অভিহিত করা হয়। এই ইন্টারনেট দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা সম্ভভ নয়। মেইল চেক করাও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
তবে সচল আছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এবং ওয়াইম্যাক্স (মোবাইল ব্রডব্যান্ড) ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সেবা। আইএসপি সূত্রে জানা গেছে, তাদের ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে তারা নিরবছিন্নভাবেই সেবা দিতে পারছে।