কেয়ার টিউটরস ডট কম থেকে নিজের পছন্দমতো টিউটর পেতে প্রথমেই আপনার শিক্ষার্থীর তথ্য ও আপনার চাহিদাগুলো একসঙ্গে লিখে পোস্ট করতে হবে। কেয়ার টিউটরস কর্তৃপক্ষ আপনার দেওয়া তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করবে এবং তাদের ওয়েবসাইটের জব বোর্ডে ওই তথ্যগুলো টিউটরদের উদ্দেশ্য একটি জব আকারে পোস্ট করে। সেখান থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার টিউশন জবটিতে ‘অ্যাপ্লাই’ করা টিউটরদের থেকে আপনার চাহিদার সঙ্গে মিলে যায় ও শর্তমেনে পড়াতে আগ্রহী এমন সর্বোচ্চ পাঁচজন টিউটরের প্রোফাইল পৌঁছে যাবে ওয়েবসাইটে আপনার করা অ্যাকাউন্টে।
টিউটর তালিকা থেকে তাদের জীবন বৃত্তান্ত বিশ্লেষণ করে সেরা একজন বেছে নিতে পারবেন অভিভাবকরা। আপনার যাকে পছন্দ হবে, তাকে শুরুতে কয়েকটি পরীক্ষামূলক ক্লাসের জন্য ডাকতে পারবেন। এরপর তার পড়ানো ভালো লাগলে নিয়োগ দিতে পারবেন স্থায়ীভাবে। পুরো প্রক্রিয়াটিই করতে পারবেন ঘরে বসেই এবং কোনও ঝামেলা ছাড়া। আর আপনাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কেয়ার টিউটরস ডট কম আপনার নির্বাচিত টিউটরেরের প্রোফাইলের সব তথ্য ভেরিফাই করছে যা আপনাকে দেবে পূর্ণ নিরাপত্তা।
শুধু অভিভাবকদের জন্য নয়, এটা টিউটরদের জন্যও বেশ কার্যকর একটা সাইট। অনেক শিক্ষার্থীর ভালো যোগ্যতা ও পড়ানোর দক্ষতা থাকলেও কারও সঙ্গে পরিচয় না থাকার কারণে হোম টিউটর হতে পারেন না।
বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে। তারা অনেক জায়গায় অনেক মানুষের কাছে অনুরোধ করেও টিউটর হতে পারেন না। অথচ তাদের চেয়ে কম যোগ্যতা নিয়েও শুধু ভালো পরিচিতি থাকার কারণে অনেকে টিউশন করছেন। মেধাবীদের এমন সমস্যাও দূর করবে কেয়ার টিউটরস ডট কম। বাংলাদেশে যেখানে উন্নত বিশ্বের মত শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম জব করার সুযোগ খুবই কম সেখানে এই ওয়েব সাইটটি তাদের জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে।
হোম টিউটর হিসেবে আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, শিক্ষিত বেকার ও চাকরিজীবীসহ পড়াতে সক্ষম যেকেউ কেয়ার টিউটরস ডট কমে প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে পারবেন। এরপর কোনও অভিভাবকের শর্তের সঙ্গে তার জীবনবৃত্তান্ত মিলে গেলে টিউটর হিসেবে পড়ানো শুরু করতে পারবেন।
কেয়ার টিউটরস ডট কম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সবগুলো বিভাগীয় শহরগুলোতে এই সেবা দিচ্ছে তারা। তবে ঢাকায় সাড়া বেশি। ঘরে বসেই বিষয়ভিত্তিক টিউটর বাছাইয়ের সুবিধার জন্য ঢাকার বাসিন্দারা বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন।