‘অর্থ সাশ্রয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার করতে হবে’

চলছে ভিডিও কনফারেন্সডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করতে উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার করা সম্ভব হয় না। এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা যাচাই না করার কারণে উন্নয়ন কাজে বিলম্ব ও অপচয় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় দ্বৈততা পরিহার করে কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে এবং এ লক্ষ্যে ব্যবহৃত পুরাতন প্রকল্পের তথ্য যাচাই করা সম্ভব। এর ফলে জনগণের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং দেশ হবে উপকৃত।’
মন্ত্রী আজ (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিসে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) -এর উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বৈততা পরিহার শীর্ষক পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব এ বিএম আরশাদ হোসেন ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অতীতে তিনটি বিপ্লবের কোনওটিতেই নেতৃত্ব দিতে পারেনি। ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বিভিন্ন সূচকে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ওপরে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে।’

প্রসঙ্গত, এই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে যখনই বাংলাদেশের কোনও উপজেলায় নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব উত্থাপিত হবে, সফটওয়্যারটি সহজে সেটি পুরোনো কোনও প্রকল্পের সঙ্গে নতুন প্রকল্পটির দ্বৈততা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে যা বিদ্যমান পদ্ধতিকে অনেকাংশে সহজ করে তুলবে। এতে স্বল্প সময়ে, নূন্যতম খরচে কাজটি করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দূর্নীতি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ৪৯২টি উপজেলায় সঠিক ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে উন্নয়ন খাতে সরকারের খরচ প্রতি বছর আনুমানিক ২৪৬ মিলিয়ন ডলার কম হবে।