টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেলো ৪ প্রতিষ্ঠান

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে মোস্তাফা জব্বার

ইডটকো বাংলাদেশ, টিএএসসি সামিট টাওয়ারস, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম নামের চার প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ খাতে আরেকটি মাইলফলক অর্জন হলো। এ খাতে নতুন কোনও আইনগত বিষয় আর বাকি নেই।’

অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ বিটিআরসির কমিশনার ও মহা-পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ইডটকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল চৌধুরী, টিএএসসি সামিট টাওয়ারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লাইসেন্স নেন।

দেশে টাওয়ার শেয়ারিং সেবাদানের জন্য লাইসেন্স পেতে ৮টি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসিতে আবেদন করে। ১৫ সদস্যের একটি কমিটি এ আবেদন মূল্যায়ন করে। পরে তারা সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৪টি প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।

অনিয়ন্ত্রিতভাবে মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, চাহিদা মাফিক ভূমি ও বিদ্যুৎ সংকটসহ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের কারণে সরকার টাওয়ার শেয়ার করার এই উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে, অপারেটরগুলোর মোবাইল টাওয়ার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় একটা কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই উদ্যোগে টাওয়ারের সংখ্যা না বাড়িয়ে অপারেটরগুলো একই টাওয়ার যাতে সবাই মিলে ব্যবহার করতে পারে সেই সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো সেই টাওয়ার ব্যবস্থাপনা করবে।