মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও পশ্চিম ইউরোপের কিছু অংশে প্রান্তিক পর্যায়ের স্থানীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও বিশ্বের অনেক অঞ্চলে আবহাওয়ার সঠিক চিত্র না মেলায় এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিগ ব্লু’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেরি গ্লাকিন। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক পর্যায়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার বিষয়ে যে ঘাটতি রয়েছে, সেই শূন্যতা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করছি। ভারতের মতো যেসব দেশে ‘ওয়েদার স্টেশনগুলো’ বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে স্থাপিত, আমাদের বিশ্বাস তাদের জন্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংগৃহীত ডাটার মতোই এই মডেলটি কাজে দেবে। প্রতি ৬ ঘণ্টা অন্তর বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে আরও উন্নত আবহাওয়ার পূর্বাভাস তাৎক্ষণিকভাবে দিতে সক্ষম হবে।’
গ্লোবাল পোজিশনিং ইউনিটের ওপর ভিত্তি করে আইবিএম প্রথমবারের মতো তাদের এই মডেলটি তৈরি করেছে। আইবিএম জানিয়েছে, গ্র্যাফ ব্যবহারের মাধ্যমে এক দিন আগেই প্রতি ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। প্রতি ৩ কিলোমিটার এলাকার আবহওয়ার পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে। স্মার্টফোন ও এয়ার ক্র্যাফ্ট সেন্সরের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক চাপ বিশ্লেষণ করে নতুন এই মডেলটি কাজ করবে। ডাটা শেয়ারিং-এর ক্ষেত্রে যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবে। ওয়েদার চ্যানেল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বাতাসের চাপের রিডিং আইবিএম-এ পাঠাতে হবে। এই বছরেই পদ্ধতিটি কার্যকর হবে। সুপার কম্পিউটারের ৮৪টি নোডে আইবিএম পাওয়ার সিস্টেম এসি৯২২ সার্ভার এবং ৩.৫ পেটাবাইট ইলাস্টিক স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।
সূত্র: জেডডিনেট ডট কম