আড়ি পাতছে আমাজন ফেসবুক গুগল!

রেস্টুরেন্ট খুঁজতে গেলে তথ্য চলে যাচ্ছে তৃতীয় কোনও পক্ষের হাতেপ্রযুক্তি দুনিয়ায় আজ গরম খবর আর আলোচনা-সমালোচনায় পরিণত হয়েছে অনলাইনে তথ্য কিভাবে চলে যাচ্ছে ফার্মগুলোর হাতে। তারা কোথা থেকে পাচ্ছে গতকালই আপনি যে কথাগুলো বন্ধুর সঙ্গে একান্তে শেয়ার করেছেন! অনলাইনে সংযুক্ত হলে যাপিত জীবনের সব কথাই কি তাহলে চলে যাচ্ছে অনলাইনে?   
মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, কিভাবে আমাদের কথা শুনছে স্মার্টফোন? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ পেয়েছেন, ফেসবুক এর মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ, আমাজন ইকো ও গুগল হোম’র মাধ্যমে স্মার্টফোন কিংবা স্মার্ট টিভির মতো ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস থেকে অতি সঙ্গোপনে ব্যক্তিপর্যায়ের কথোপকথন, ব্যক্তির ভালো লাগা, মন্দ লাগা ইত্যাদি বিষয় সংরক্ষণ করছে। হেয়াটস অ্যাপে এনক্রিপটেড বার্তাও পড়ছে। 
যদি এ সত্যটি প্রমাণ হয়, তবে এর পেছনের একটি ষড়যন্ত্র প্রকাশ করবে যা প্রযুক্তি শিল্পকে অপ্রত্যাশিত ক্ষতি করতে পারে। সেই দিনটি খুব বেশি দূরে নয়। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য শেয়ার করার মাত্রা সম্পর্কে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য অবশ্যই জনগণকে মোটেই তুষ্ট করতে সাহায্য করবে না। বড় বড় সংস্থাগুলো যে তাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে না তারা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না।
গুগল ই-মেইলের ইনবক্স বিশ্লেষণ করে না বললেও মেইলে কিন্তু ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন আসে। তার মানে যেভাবেই হোক ব্যবহারকারী কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, কী দেখছেন, কতক্ষণ দেখছেন ইত্যাদি ডেটাগুলো কিন্তু ঠিকই বিভন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সংরক্ষিত হচ্ছে এবং তা বড় বড় কোম্পানির হাতে থেকেও যাচ্ছে।   
সূত্র: ইয়াহু নিউজ